মোনালিসাকে ধর্ষণ করে হত্যা
ঘাতক আবু সাঈদকে দুবাই থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্কুল ছাত্রী মোনালিসা আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামী আবু সাঈদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দেশে আনা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আবু সাঈদকে দেশে ফেরত আনার পর ফতুল্লা থানায় পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরবর্তীতে যথাসময়ে তাকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে হাজির করা হবে।
সম্পর্কিত খবর
গ্রেফতারকৃত আসামী আবু সাঈদ ফতুল্লা থানার পশ্চিম দেওভোগ বড় আমবাগান এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে। আর নিহত মোনালিসা আক্তার স্থানীয় হাজী উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী ছিল।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আরো জানান, মোনালিসা হত্যা মামলার প্রধান আসামী আবু সাঈদ হত্যাকান্ডের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে তথ্যটি নিশ্চিত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ এবং পুলিশ হেডকোয়াটার্সের এনসিবি শাখার যৌথভাবে ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাকে গ্রেফতারের জন্য আবেদন করে। পরবর্তিতে সে আবেদনের প্রেক্ষিতে দুবাই পুলিশ চলতি মাসের ১৭ সেপ্টেম্বর ঘাতক সাঈদকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী দুবাইয়ে গ্রেফতার করে। পরে সকল প্রক্রিয়া শেষে দীর্ঘ ৮মাস পর আজ রবিবার সকালে তাকে দেশে ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ঘাতক আবু সাঈদ বিয়ে করার জন্য দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসে। পরে বিয়ের জন্য পরিবার পক্ষ থেকে পাশের বাড়ির ৬ষ্ঠ শ্রেনীর স্কুল ছাত্রী মোনালিসাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়। মেয়ের বয়স অল্প হওয়াতে সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মোনালিসার পরিবার। পরে অনত্র বিয়ে করলেও গত ২ফেব্রুয়ারি বাড়িতে একা পেয়ে মোনালিসাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে সাঈদ। হত্যার পর ঘটনাটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দিতে লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুঁলিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে যায়। পরবর্তিতে এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মোনালিসার বাবা শাহীন বেপারী বাদি হয়ে আবু সাঈদকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।