লালমনিরহাটে দু’পক্ষের সংর্ষষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ২৫

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালের পাশাপাশি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে কালীগঞ্জ লতাবর কদমতলী এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন, নুর আলম, সাহিদুল, ফুয়াত হাসান, সফিকুল ইসলাম, ওয়ারেজ আলী, সাজ্জাদ ইকবাল, সোয়েব মেজবা, স্বাদ রেজাওয়ান, আজিজুল ইসলাম, কুদরত, সুরুজ আলী, কাজীমুদ্দিন, কালাম, আশরাফুল, রতন, কালীগঞ্জের লতাবর গ্রামের রেজাউল করিম, আব্দুল বাতেন, আক্কাস আলী, আব্দুল কাইয়ুম, মিঠুন ও মিলন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জের লতবার এলাকায় সোয়েবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী কাজী শরিফুল গং এর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল। কয়েক বছর আগে সোয়েবের বাবা জাহাঙ্গীর প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। ওই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু কিছুদিন থেকে প্রতিপক্ষের ভয়ে নিজ বাড়িতে যেতে পারছিলনা সোয়েবুর রহমান। সেকারণে সোয়েব তার শ্বশুড় ও হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের মহির উদ্দিনের স্বরণাপন্ন হন।

এই অবস্থায় বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন অন্তত ২০ জন লোক নিয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার অদূরের জামাইয়ের বাড়িতে যান। এসময় চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে লতাবর গ্রামের শরিফুল গং এর সর্ঘষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতদের কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লতাবর গ্রামের কাজী শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মকবুল হোসেন বলেন, সংষর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওএফ