গফরগাঁওয়ে আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গোলাগুলি
ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাংচুর, একটিতে অগ্নিসংযোগ ও কমপক্ষে ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন আহত হয়।
রোববার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার খুরশিদ মহল গ্রামের ব্রিজের নিচের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন ওই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে।
সম্পর্কিত খবর
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. আবুল হোসেন দিপু মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল বহর নিয়ে পাঁচবাগ ইউনিয়নের খুরশিদ মহল ব্রিজের নিচে এসে গণসংযোগ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় কিছু লোকজন ড. আবুল হোসেন দীপুকে কটূক্তি করলে স্থানীয় এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে আবুল হোসেন দীপুর সমর্থকরা।
এ সময় ৪০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আরিফুজ্জামান রাজু (২৫), শওকত আলী (৩৫), তামিম আহমেদ (১৯), আবুল কালাম (২০) ও জাকির সরকার (২০) আহত হয়। পরে আবুল হোসেন দিপু তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হযরত আলী বলেন, হঠাৎ গাড়ির বহর নিয়ে দিপু খুরশিদ মহল ব্রিজের নিচে এসে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলার সময় লোকজন তাকে (দিপুকে) রাজাকারের সন্তান বলায় তার সঙ্গে থাকা লোকজন উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় দিপুর লোকজন চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও একটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। পরে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটে যায়।
এ ব্যাপারে ড. আবুল হোসেন দিপু বলেন, আমি লোকজন সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগ করে ফিরে আসার সময় খুরশিদ মহল ব্রিজের নিচে কে বা কারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আমার সঙ্গে কারো কোন ঘটনা ঘটে নাই।
পাগলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
/পি.এস