• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রংপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই

প্রকাশ:  ১১ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩৫
রংপুর প্রতিনিধি

সঠিক তদারকি ও পর্যাপ্ত জনবল সংকটের কারণে জরাজীর্ণ অবস্থা রংপুরের একমাত্র কসাইখানার। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর অভাব ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ না থাকায় বর্তমানে কসাইখানায় পশু জবাই করতে যান না নগরীর মাংস ব্যবসায়ীরা। কসাইখানার আশেপাশের এলাকার ব্যবসায়ীরা সপ্তাহে ৩ থেকে ৪টি পশু কসাইখানায় জবাই করলেও নিয়মানুযায়ী পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না।

এদিকে, কসাইখানা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া রোগা পশু জবাই করে সিটি কর্পোরেশনের সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।

রংপুর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, পূর্বে কসাইখানার তদারকির জন্য পর্যাপ্ত জনবল থাকলেও বর্তমানে জনবল সংকট রয়েছে। সাবেক মেয়রের (শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু) আমলে কসাইখানায় নতুন লোকবল নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু যথাসময়ে লোকবল নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি । ফলে জনবল সংকট সৃষ্টি হয়। যা এখনও চলে আসছে। বর্তমানে কসাইখানায় মাত্র ১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১ জন মাওলানা রয়েছেন, যিনি পশু জবাই করেন।

কসাইখানা এলাকার বাসিন্দা মুরাদ জানান, পূর্বে এ কসাইখানায় ২০-২৫ টি পশু জবাই করা হত। সেই সময় পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসক ছিল। পরিচ্ছন্নতা কর্মীও ছিল পর্যাপ্ত। বর্তমানে কসাইখানায় ২ থেকে ৩ টি পশু জবাই করা হয়। কিন্তু পশুর কোনোরকম স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। রোগা পশু জবাই করে সিটি কর্পোরেশনের সিলমোহর ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বিষয়টি তদারকি করেন না সিটি কর্পোরেশন।

একই এলাকার মিজানুর রহমান জানান, বর্তমানে কসাইখানার জরাজীর্ণ অবস্থা। কসাইখানার মেঝে, দেয়ালসহ পুরো অবকাঠামো পরিত্যক্ত বাড়ির মত হয়ে গেছে।

কথা হয় কসাইখানার পরিচ্ছন্নতাকর্মী সাইফুল ইসলাম স্বপনের সাথে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমি একাই কসাইখানায় কাজ করি। কসাইখানায় পানির অভাব রয়েছে। পানির অভাবে ঠিকমত কসাইখানা পরিষ্কার করা হয় না। বর্তমানে তেমন পশু জবাইও হয় না কসাইখানায়। মাঝে মাঝে জবাই করা হলেও পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় না। কারণ, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোনো চিকিৎসক নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রসিকের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কসাইখানা স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি অবিলম্বে পাশ করা হবে। প্রস্তাবটি পাশ হলে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে কসাইখানা স্থাপন করা হবে। এর ফলে কসাইখানার সংকট যেমন দূর হবে তেমনি নিয়ম মেনে পশু জবাইয়ের বিষয়টিও নজরদারি করা হবে।

তিনি আরো বলেন, মাহিগঞ্জের কসাইখানাটিও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়াও জনবল সংকট ও কসাইখানার তদারকির বিষয়েও গুরুত্ব দেয়া হবে।

/পি.এস

রংপুর,স্বাস্থ্য পরীক্ষা

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close