লাবনী আত্মহত্যা করেনি
যশোরের মণিরামপুরের নেহালপুর ঋষিপল্লীর কলেজ ছাত্রী লাবনী (২০) আত্মহত্যা করেননি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) লাবনীর লাশের ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায় পুলিশ। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে পুলিশ জানতে পারে লাবনীকে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেয়ে ৮২দিন পর পুলিশ এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় হত্যা মামলা রেকর্ড করেছে। লাবনীর বাবা স্বপন দাস বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
মামলায় আসামি করা হয়েছে, লাবনীর স্বামী পরশ দাস (২৫), শ্বশুর গৌরপদ দাস (৫০) ও শাশুড়ী মালিনী দাস (৪০) সহ ৭ জনকে। এদের মধ্যে গৌরপদ দাস ও মালনী দাসকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূলহোতা পরশ দাস পলাতক রয়েছেন।
জানাযায়, উপজেলার নেহালপুর ঋষিপল্লীর স্বপন দাসের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে লাবনী দাস (২০) কে গত ২৮ আগস্ট রাতে হত্যা করে তার লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। লাবনী দাসের শ্বশুর বাড়ির লোকেরা প্রচার করে লাবনী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার পরদিন মণিরামপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়। যার মামলা নং- ৪৯(৮)১৮। কিন্তু লাবনীর পিতা-মাতাসহ স্থানীয়দের বরাবরই দাবি লাবনীকে পরিকল্পিতভাবে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে মূল ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে। লাবনী মণিরামপুর ডিগ্রী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স ২য বর্ষের ছাত্রী ছিলো। লাবনীর হত্যার বিচার চেয়ে তার সহপাঠী, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের লোকজন তখন দফায় দফায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল। কিন্তু পুলিশ এ দাবীকে উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ডাক্তার মতামত দিয়ে বলেছেন, লাবনীকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য লাবনীর শ^শুর ও শাশুড়ীকে দুপুরে আটক করা হয়েছে।
মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ইনামুল হক বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে দুই জন আটক আছে।’