• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রাজশাহীতে বিএনপি প্রার্থীর কার নামে কত মামলা বিচারাধীন

প্রকাশ:  ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৪৪
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহীর ছয়টি সংসদীয় আসনে বিএনপির প্রার্থীরা মামলায় জর্জরিত। হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপনের দায়ে প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে তিন হেবিওয়েট ছয় প্রার্থীর। বাছাইয়ে টিকে থাকা বিএনপির প্রার্থীদের নামে তেমন মামলা নেই।

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ব্যারিস্টার আমিনুল হক। মামলার সার্টিফাইড কপি না থাকায় তার মনোনয়ন বাতিল হয় যাচাই-বাছাইয়ে। ব্যারিস্টার আমিনুল হকের বিরুদ্ধে বিচারাধীন রয়েছে ১৯টি। এছাড়া দুটি মামলায় আপীলে খালাস, তিনটি মামলায় তদন্তে অব্যহতি এবং তিনটি মাামলায় বিচারিক আদালতে খালাস পেয়েছেন তিনি।

সম্পর্কিত খবর

    মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়া জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মজিবুর রহমানের নামে ২৮ মামলা চলমান। সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়া মুজিবুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

    রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুর বিরুদ্ধে জমেছে মামলার পাহাড়। তবে পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ হত্যা মামলাসহ তার নামে সাতটি মামলা এখনো বিচারাধীন। এছাড়া চারটি মামলা উচ্চ আদালতে স্থগিত ও দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন মিনু।

    রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের নামে পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ হত্যা মামলাসহ সাতটি মামলা বিচারাধীন। এছাড়া তিনটি মামলা হাইকোর্টে স্থগিত হয়েছে। আর একটি মামলায় হাইকোর্টে খালাস পেয়েছেন মিলন।

    এ আসনে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া বিএনিপর আরেক প্রার্থী একেএম মতিউর রহমান মন্টুর নামে দুটি এবং জামায়াতের অধ্যাপক মাজিদুর রহমানের নামে ১৫টি মামলা রয়েছে। ভোটার তালিকায় গরমিল থাকায় মাজিদুর এবং ঋণ খেলাপী হওয়ায় মতিউর রহমানের প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়।

    রাজশাহী-৪ (বাগামারা) আসনের বিএনপির প্রার্থী আবু হেনার বিরুদ্ধে চলমান কোন মামলা নেই। তবে তিনটি মামলায় অব্যহতি পেয়েছেন আবু হেনা। যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়া বিএনপির আরেক প্রার্থী আবদুল গফুরের নামেও কোন মামলা নেই।

    রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা। তার নামে ১৪টি মামলা বিচারাধীন। এছাড়া তিনটি মামলা স্থগিত এবং একটি মামলা তদন্তাধীন। তবে হলফনামায় ১০টি মামলার তথ্য গোপনের দায়ে তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।

    রাজশাহী-৬ (চারঘাট-বাঘা) আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আবু সাইদ চাঁদ। তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা বিচারাধীন। তদন্তাধীন আরো ৮টি মামলা। এছাড়া সাতটি মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি। তবে দুটি মামলার তথ্য গোপন এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ না করায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। বিএনপির আরেক প্রার্থী নুরুজ্জামান খানের নামে দুটি মামলা থাকলেও তাতে খালাস পেয়েছেন তিনি। আর বজলুর রহমানের নামে কোন মামলা নেয়।

    নির্বাচন দফতর জানিয়েছে, রাজশাহীর সংসদীয় ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন ৬৮ প্রার্থী। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ৫৩ জন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান ২৩ প্রার্থী। মনোনয়নপত্র গৃহিত হয়েছে ৩০ প্রার্থীর। যাচাই-বাছাইয়ে বাদপড়া প্রার্থীরা আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপীলে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন।

    তফসিল অনযায়ী, আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দে পর আনুষ্ঠানিক প্রচারে নামবেন প্রার্থীরাা। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    ওএফ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close