গফরগাঁও হানাদার মুক্ত দিবস আজ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের এই দিনে গফরগাঁওয়ের মুক্তিকামী মানুষ বিজয় আনন্দে মেতে ওঠেন। এর পর থেকে গফরগাঁওয়ের সর্বস্তরের মানুষ বিজয়ের এই দিনটিকে মুক্ত দিবস হিসাবে পালন করেন।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ গফরগাঁও রেলওয়ে ষ্টেশন চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বেলাল আহম্মেদ স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত গফরগাঁও হানাদারমুক্ত ছিল। কিন্তু ১৭ এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী হঠাৎ আকাশ ও স্থল পথে গফরগাঁও বাজার ও রেল ষ্টেশনে হামলা করে।
সম্পর্কিত খবর
এ হামলায় গফরগাঁওয়ের চার শতাধিক মুক্তিকামী মানুষ শহীদ হন। ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে গফরগাঁওয়ের বীর মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীর সাথে অনেক বার সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হন এবং বিজয় অর্জন করেন। দেশব্যাপী চুড়ান্ত বিজয়ের আগে ৮ ডিসেম্বর আফসার বাহিনীর কোম্পানী কমান্ডার সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা ভালুকার দিক থেকে এবং ইকবাল-ই- আলম কামাল বাহিনীর সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধারা পাইথলের দিক থেকে পাক হানাদার বাহিনীকে পিছু ধাওয়া করেন। এ অবস্থায় মুক্তি বাহিনীর আক্রমণ থেকে বাঁচতে হানাদাররা নিরস্ত্র শতশত নারী-পুরুষ-শিশুকে মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে পিছু হটে উপজেলা সদরে অবস্থিত ডাকবাংলো ও জন্মেজয় জমিদার বাড়িতে অবস্থান নেয়।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার, আল-বদর, আল-সামসরা প্রাণ বাঁচাতে পাক-হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে পাক সেনারা তাদের দোসর রাজাকার-আল বদরদের ঘুমের মধ্যে রেখে ট্রেনযোগে পালিয়ে যায়। ৯ ডিসেম্বর এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে বিজয় আনন্দে মেতে উঠেন এবং গফরগাঁও হানাদার মুক্ত হয়। গফরগাঁও মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হবে।
/পি.এস