হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে পালালেন স্বামী
পাবনার ঈশ্বরদীতে সীমা আক্তার (২৬) নামের এক কণ্ঠশিল্পী গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়েছেন তার স্বামী। সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাত দশটার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সীমা আক্তার উপজেলার দিয়াড় বাঘইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আবু রায়হান রাজেশের স্ত্রী এবং ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নূর আলীর মেয়ে।
সম্পর্কিত খবর
সীমার স্বজনদের দাবি, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
সীমার ছোট ভাই বিপুল হোসেন জানান, পাঁচ বছর আগে সীমা ও রাজেশের বিয়ে হয়েছে। তাদের চার বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। যৌতুকের জন্য প্রায়ই সীমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো রাজেশ।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রাজেশ একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ঈশ্বরদী সংস্কৃতি নিকেতনের সভাপতি মিজানুর রহমান মিন্টু জানান, সীমা ঈশ্বরদী সংস্কৃতি নিকেতনের সাবেক ছাত্রী এবং সে একজন নিয়মিত সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। সোমবার রাতে লোকমারফত খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে সীমাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান সংস্কৃতি নিকেতনের সভাপতি-সম্পাদক ও সীমার স্বজনরা।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার কাবেরি শাহ জানান, সীমাকে তার স্বামী হাসপাতালে এনেছিলেন। চিকিৎসকরা শরীর চেকআপ করে যখন সীমাকে মৃত ঘোষণা করেন তখন সাথে সাথেই স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামী রাজেশ। সীমার গলায় দাগ রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত সীমা আক্তারের বাবা ঈশ্বরদী শহরের শৈলপাড়া এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী নূর আলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হলেও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এলে এটি হত্যা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। এদিকে কণ্ঠশিল্পী সীমাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ও শাস্তি দাবি করেছেন ঈশ্বরদী সংস্কৃতি নিকেতনের শিল্পীরা।
/পি.এস