শ্রীলঙ্কায় বোমা হামলা, নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৯
শ্রীলঙ্কার কলম্বোসহ ছয়টি স্থানে তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এ পর্যন্ত ১৮৯ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫ শতাধিক মানুষ।
রোববার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টায় খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের ইস্টার সানডে চলাকালীন সময়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের কলম্বোসহ বেশ কিছু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশের বরাত দিয়ে ডেইলি মিরর বলছে, পৃথক এসব হামলায় এ পর্যন্ত ১৮৯ জন নিহত হয়েছে।
যে তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানে অবস্থিত। এসব গির্জায় ইস্টার সানডে উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলছিল। তাছাড়া রাজধানীর সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন এবং কিংসবারি নামক আরও তিনটি হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হোটেল তিনটি রাজধানী কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, কাতুয়াপিটিয়াতে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্তিয়ান নামক গির্জার ছাদ ধসে পড়েছে এবং গির্জার মূল স্থানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে আছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, নিহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকও আছেন।
হার্শা ডি সিলভা নামের শ্রীলঙ্কার এক সংসদ সদস্য (এমপি) জানান, তিনি একটি হোটেল গিয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছেন।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি শরীরের বিচ্ছিন্ন অংশ চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। জরুররি সেবাদানকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।
হামলার পর কলোম্বোর কাটুয়াপিটিয়ার সেন্ট সেবাস্টিন গীর্জার ফেসবুক পেজে বলা হয়, আমাদের গীর্জায় বোমা হামলা হয়েছে। এখানে যদি আপনার পরিবারের সদস্য থাকেন তাহলে আসুন, তাদের পাশে দাঁড়ান।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইত্রিপালা সিরিসেনা এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামলার পর শ্রীলঙ্কার স্কুল-কলেজ দুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পিপিবিডি/এসএম