• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি কলকাতার বাগরি মার্কেটের আগুন

প্রকাশ:  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২২:২২
প্রসেনজিৎ দাস, ভারত

প্রায় ১০ ঘণ্টা পর বাগরি মার্কেটের ভিতরে ঢুকলেন দমকলকর্মীরা। এবার আগুনের উৎস খুঁজতে সুবিধা হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। দমকলের সঙ্গেই মার্কেটের ভিতরে ঢোকেন পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারও।

রবিবার ভোররাত আড়াইটে নাগাদ আগুন লাগে ক্যানিং স্ট্রিটের বাগরি মার্কেটে। প্রসাধনী, প্লাস্টিকের জিনিস এবং ওষুধপত্রের জন্য বিশেষ পরিচিত বাগরি মার্কেট পুজোর মুখে জিনিসপত্রে ঠাসা ছিল। প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় আগুন ৬ তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৩০টি ইঞ্জিন। এসি মেশিন, কম্পিউটারের মতো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠতে থাকে এলাকা। বাড়িটির দেওয়ালে ফাটল ধরে গিয়েছে। সেই ফাটল থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। লোহার রড, চাঙড় খসে পড়তে থাকায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই প্রার্থনা শুরু করেন। দমকলের সঙ্গে সহায়তায় নামেন স্থানীয় বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরাও। প্রায় ৪০০টি দোকান ভস্মীভূত হয়েছে। প্রথমে একজনের জখম হওয়ার খবর মিললেও পরে রাজীব কুমার জানিয়ে দেন অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের খবর নেই।

দমকল দেরিতে আসা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি না থাকায় আগুন নেভাতে সমস্যা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। রবিবার বিকেল পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় সেনা নামানোর দাবি তোলেন তাঁরা।

এ ব্যাপারে দমকলমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ঘিঞ্জি এলাকায় প্রথমে ঢুকতে সমস্যা হলেও দমকলকর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গেই কাজ করছেন। চতুর্দিকে বৈদ্যুতিক তারের জাল থাকায় ইলেক্ট্রনিক ল্যাডার ব্যবহার করতে পারেননি তাঁরা। তার বদলে সাধারণ মই দিয়েই কাজ চালানো হয়। চারপাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাওয়ায় এবং জোরালো হাওয়ার জন্য আগুনের তীব্রতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে। বাগরি মার্কেট লাগোয়া মেহতা বিল্ডিং থেকেও পানি ছড়ানো হয় জ্বলন্ত বহুতলের উপর।

আনুমানিক কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাগরি মার্কেটে আগুন লাগায় এম জি রোড–পোদ্দার কোর্টের মাঝে রবীন্দ্র সরণি এবং ব্র‌্যাবোর্ন রোড–রবীন্দ্র সরণির মাঝে ক্যানিং স্ট্রিট সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় পুলিশ।

স্থানীয় সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জির অভিযোগ, দমকলের তরফে সতর্ক করা হলেও অনেক ব্যবসায়ীই নির্দিষ্ট অগ্নি নির্বাপনবিধি মানেননি। বাড়িটি প্রায় ৫০ বছরের পুরনো। তবে নিজেদের মতো করে অনেক ব্যবসায়ীই দোকানের অংশ গড়েছিলেন। কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব তাঁদেরও নেওয়া উচিত ছিল যা অনেকেই করেননি।

-একে

আগুন,কলকাতা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close