ভাগ্যের জেরে বাঁচলেন বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের এক যাত্রী
ইন্দোনেশিয়ায় লায়ন এয়ারের বিধ্বস্ত হওয়া বিমান থেকে ভাগ্যের জেরে বেঁচে গেলেন এক যাত্রী। পথিমধ্যে যানজটের কবলে পড়ে সেদিন ফ্লাইট ধরতে পারেননি তিনি। নগরজীবনের অভিশাপ হিসেবেই বিবেচনা করা হয় যানজটকে। তবে এই অভিশাপই এবার একজনের জীবনের আশীর্বাদ হয়ে উঠল। সোমবার (২৯ অক্টোবর) সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া লায়ন এয়ারের বিমানের টিকিট কেটেছিলেন ইন্দোনেশীয় নাগরিক সনি সেতাওয়ান। তবে যানজটের কারণে সেদিন ফ্লাইটটি ধরতে পারেননি। প্রথমে আক্ষেপ থাকলেও সেই আক্ষেপই এখন তার বড় প্রাপ্তি।
সম্পর্কিত খবর
সনি সেতাওয়ান ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। সেদিন সনির অন্যান্য সহকর্মীরা বিমান উড্ডয়নের আগেই বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু জাকার্তার রাস্তায় যানজটের কবলে পরায় ফ্লাইট ধরতে পারেননি তিনি।
এ ব্যাপারে সনি সেতাওয়ান বলেন, প্রথমবারের মতো আমার কান্না আমি নিজেই শুনছি। আমি জানি, বিমানের ওই ফ্লাইটে আমার বন্ধুরা ছিলেন। আমি এবং বন্ধুরা সবসময়ই জেটি-৬১০ ফ্লাইটে যাতায়াত করতাম। আমি জানি না কেন সেদিন সড়কে এত তীব্র যানজট ছিল। সচরাচর এত যানজট থাকে না। যানজটের কারনেই আমি ফ্লাইটটি ধরতে পারিনি।
দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, এ ধরনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় কারো বেঁচে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও ভাগ্যক্রমে সনি বেঁচে গেছেন। তবে বিমানের আরোহী তার অপর ছয় সহকর্মী বাঁচতে পারেননি।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৯ অক্টোবর) লায়ন এয়ারের এই ফ্লাইটটি পাংকল পিনংয়ের উদ্দেশে রওনা দিলে ১৩ মিনিট পর বিধ্বস্ত হয়ে সমুদ্রে পড়ে যায়। বিমানে থাকা ১৮৯ আরোহীর মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
-এসএমএ