Most important heading here
Less important heading here
Some additional information here
Emphasized textSome additional information here
Emphasized textনিজের স্ত্রীকে ভালো লাগতো না। উল্টে মনে ধরেছিল ভাইয়ের স্ত্রীকে। আবার ভাইয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টা ছিল ঠিক উল্টো। তিনিও মনে মনে বউদিকেই চাইতেন। তাই দুই ভাই মিলে পরিকল্পনা করেছিলেন স্ত্রী-বদলের। কিন্তু স্বামী বিশালের পরিকল্পনায় বাদ সাধেন স্ত্রী লক্ষ্মী। উল্টে দেবরকে অপমান করেন। সেই অপমান মানতে পারেননি কোনও ভাই। তখনই মনে মনে বদলা নেওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেন তারা। সেই মতো স্ত্রীকে খুন করল এক ব্যক্তি। সেই কাজে সাহায্য করলেন তার ভাইও।
এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ অভিযুক্ত বিশাল কুমার, তার ভাই যোগেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে। খুনে সাহায্য করার জন্য সোনু নামে এক যুবককেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশের জেরার খুনের কথা স্বীকার করেছেন বিশাল। তিনি জানান, স্ত্রী লক্ষ্মীকে তার পছন্দ ছিল না বরং তার ভালো লাগতো ভাইয়ের স্ত্রীকে। অন্যদিকে, ভাই যোগেন্দ্রর পছন্দ ছিল লক্ষ্মীকে। সে জন্যই স্ত্রী বদলের পরিকল্পনা করেছিলেন তারা।
কিন্তু এই প্রস্তাব শোনার পর তা মানতে চাননি লক্ষ্মী। উল্টো তিনি যোগেন্দ্রকে অপমান করেন। পুলিশের জেরায় বিশাল স্বীকার করেছে, এর পরই লক্ষ্মীকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল তারা।
রায়পুর সদরের পুলিশ কর্তা রাজেন্দ্র সিংহ জানান, খুনের ঘটনাটি ঘটে গত ৩০ নভেম্বর। সেদিন হায়জায়পুর গ্রামে বাপের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল লক্ষ্মীর। সে দিন রাত ৯টার দিকে ফোন করে স্ত্রীকে তাদের আজাদ কলোনির বাড়ি থেকে বার হতে বলেন বিশাল। সেই মতোই সে দিন রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন লক্ষ্মী।
পুলিশ জানায়, শ্বশুরবাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে এক জায়গায় লক্ষ্মীকে খুন করেন বিশাল এবং যোগেন্দ্র। এই কাজে সাহায্য করেন সোনু। পরে দেহটি ফেলে পালিয়ে যায় তিন জনই। ইতিমধ্যেই মেয়ের খোঁজখবরও শুরু করে লক্ষ্মীর পরিবার। বিশালের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনও সদুত্তর না পেয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেছিলেন।
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) মরদেহটি প্রথম নজরে আসে লক্ষ্মীর এক অবিবাহিত বোনের। তিনি বিষয়টি পুলিশে জানান। অভিযোগ জানানো হয় বিশালের নামেও। বুধবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় বিশালকে। জেরার সব দোষ স্বীকার করেছে বিশাল।
/অ-ভি