ঢাবিতে কোটা আন্দোলনের ৫ নেতাকে মারধর
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন করতে এসে মারধরের শিকার হয়েছেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় কয়েকজন নেতাও ছিলেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে তাদের কর্মসূচি পালনের কথা ছিলো।
সম্পর্কিত খবর
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ নামে কর্মসূচি পালনের আগে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) খেতে বসলে তাদের উপর ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী অতর্কিতভাবে হামলা করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিলেন কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা বিন ইয়ামিন, জসিম উদ্দিন আকাশ, সোহরাব হোসেনসহ আট-দশজন। অন্যদিকে ছাত্রলীগের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মী বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা।
সূত্র জানায়, হামলাকারীরা মারধরের সময় টিএসসির গেট আটকে দেয়। তাদের মারধরে সোহরাব হাসানের নাক ফেটে রক্ত বের হয়। তার অবস্থা আশংকাজনক। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়াও জসিম উদ্দিন আকাশ, জালাল আহমেদসহ অন্য আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম রহমান খান পাঠান বলেন, আমরা ৮ থেকে ১০ জন টিএসসি প্রাঙ্গণে আড্ডা শেষে টিএসসি ক্যাফেটেরিয়াতে খাবার নিয়ে খেতে বসি। তখন আমাদের উপর ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীরা নৃশংসভাবে হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয় কোটা আন্দোলনের অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, কবীর হোসেন, জসিম উদ্দিন, মোল্লা বিন ইয়ামিন, তারেক আহমেদ নাহিদ ও আমি সহ বেশ কয়েকজন আহত হই।
তবে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।
এদিকে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, দল কানা প্রশাসনের সাথে মিলিত হয়ে ছাত্রলীগ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে এ নিয়ে কোন কর্মসূচি দেয়া যায় কিনা আমরা সেটা ভেবে দেখব।
পিবিডি/আরিফ