• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

প্রথম শ্রেণিতে প্রথম, নাম্বার কম দেওয়ায় শাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

বিভাগের শিক্ষকদের দায়ী করলেন বোন

প্রকাশ:  ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৪৮ | আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি (জিইবি) বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাইফুর রহমান প্রতীক সোমবার (১৪ জানুয়ারি) আত্মহত্যা করেছেন। ওইদিন বিকেলে নগরীর কাজলশাহ এলাকার একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এঘটনায় শাবির জিইবি বিভাগের শিক্ষকদের দায়ী করেছেন প্রতীকের বড় বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের শিক্ষক শান্তা তাওহিদা।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেছেন, ‘আমার কলিজার টুকরা আমার আদরের একমাত্র ভাই আমার প্রতীক আর নাই... শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগকে আমি ছাড়ব না, অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হওয়া ছেলেটাকে বিভিন্ন ইস্যু বানিয়ে মাস্টার্সে সুপারভাইজার দেয় নাই। বিভিন্ন কোর্সে নম্বর কম দিয়েছে! আমার ভাইটা টিচার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল এটাই তার অপরাধ... গত ছয় মাস ধরে ডিপার্টমেন্ট তিলে তিলে মেরে ফেলেছে আমার ভাইকে...আমার কলিজার টুকরা কষ্ট সহ্য করতে না পেরে কাল সুইসাইড করেছে... আমার কলিজার টুকরা ছাড়া আমি কীভাবে বাঁচব? ভাইরে আমি আসতেছি তোর কাছে ভাই...’

আরেকটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেছেন, ‘আমার ভাইটারে গত মাসেও আমি জিজ্ঞেস করেছি আমি কি তোর বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করব? আমার ভাই বলছে- আপু আমি জিআরআই দিয়েছি আপু, আমি ইউকে চলে যাব, আমার তো রেফারেন্স লাগবে! শিক্ষকরা ভয় দেখাইছে কিছু করলে রেফারেন্স লেটার দেবে না... আমার ভাইরে মেরে ফেলছে ওরা... আমি কই পাব আমার টুকরারে আমি কই পাব?’

অন্য এক স্ট্যাটাসে শান্তা তাওহিদা লিখেছেন, ‘অরিত্রি, তরুণ দানিকে আমি চিনি না, ওদের শুধু নাম শুনিছি! আমার পরিবার গত ছয়মাস ধরে যে ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, অামার ভাই যে হতাশার মধ্যে যাচ্ছে সেই কারণে আমি অদের নিয়ে লিখেছি, আমরা পরিবারের সবাই আমার ভাইকে বুঝাবার চেস্টা করে গেছি! প্রতীক ওর শিক্ষকদের কারণে হতাশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল! আমরা সবাই টেনশন করতাম অকে নিয়ে..অামি জানি অাত্মহত্যা কোন সমাধান না, জীবনের কঠিন সময়ে ফাইট করতে হবে এই কথা আমার ভাই কে বুঝিয়েছি! আমি সুইসাইড নিয়ে এত লেখা লিখেছিলাম আমার ভাইটাকে শক্তি দিতে....কিন্তু আমি আমার ভাইকে বাচাঁতে পারিনি...আমার মত দুর্ভাগা বোন অার কেউ নেই...’

সুইসাইডকে না বলার আহ্বান জানিয়ে প্রতীকের বোন লিখেছেন, ‘অরিত্রির জন্য অামি লিখেছিলাম..আমি আমার ভাইকে এই কথাগুলো বলেছিলাম! আমার সোনার টুকরা আমার কথা শুনেনি! কিছু মানুষ রুপী জানোয়ার শিক্ষকের জন্য আমার ভাই আজ চলে গেল! আমি নিজে শিক্ষক! আমার ছাত্রদের কাছে জিজ্ঞেস করেন আমি তাদের কাছে কী? ///তুমি ভুল করেছ! জীবন বড়ই সুন্দর। #লড়াই করে, #চিৎকার করে, #ঘৃণায় ভ্রূ কুচকে, অপমান হয়ে, #অপমান ফিরিয়ে দিয়ে, #কষ্ট পেয়ে, কেঁদে #কেঁদেও #জীবন_সুন্দর। তুমি আজ বেঁচে থেকে লড়াইটা করলে ঠিকই তুমি তোমার দুচোখ জুড়ে সেই সুন্দর জীবন দেখতে পেতে। এত সহজে এত পানির দরে #জীবনের_অপচয় তুমি করতে পারো না, মা অরিত্রি। Say No To Suicid///’

পিবিডি/মিশু

শাবি,আত্মহত্যা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close