• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

জাহালমের সাজার পেছনে কারা জড়িত, দেখবেন হাইকোর্ট

প্রকাশ:  ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
জাহালম। ফাইল ছবি

জালিয়াতির মামলায় ‘ভুল আসামি’ হয়ে তিন বছর সাজা ভোগ করার পেছনে কারা জড়িত, তা দেখবেন বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

পাশাপাশি জাহালমের জেল খাটার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলার ফাইল না আসায় শুনানির জন্য আগামী ২ মে পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, জাহালমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম। এ সময় বিনা দোষে জেল খাটা জাহালমও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিন মামলাটির শুনানি শুরু হলে দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান সময় চেয়ে আবেদন করেন। এ সময় আদালত দেখেন এ মামলার ফাইল আসেনি। তখন আদালত বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিলো আজকে ফাইল আসবে এবং আমরা শুনানি করতে পারব। কিন্তু ফাইলতো আসেনি। এ সময় আদালত দুদকের আইনজীবীকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত নথি দাখিল করতে বলেন।

এ ছাড়া জাহালমের জেল খাটার পেছনে কারা জড়িত সেই তদন্ত রিপোর্টও দাখিলের নির্দেশ দিয়ে আগামী ২ মে দিন ঠিক করে দেন আদালত।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল জাহালমকে দেখতে চান হাইকোর্ট। আদালত তাকে আজ উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল।

গত ৬ মার্চ জাহালমকে ২৬ মামলায় ভুল আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিলের যাবতীয় নথি তলব করেন হাইকোর্ট। গত ৩ ফেব্রুয়ারি জাহালমকে ২৬ মামলায় অব্যাহতি দেন হাইকোর্ট। তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরও ৭ মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল না হওয়ায় ওসব মামলায় তার অব্যাহতির বিষয়ে আদেশ দেননি আদালত। যার ফলে কারামুক্তি পান জাহালম।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি ২৬ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে থাকার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট।

দুদকের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র সচিবের একজন প্রতিনিধি ও আইন সচিবের একজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উপস্থানের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিচারপতি নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে’ ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না…’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাসগুপ্ত।


পিবিডি/এসএম

জাহালম,আদালত,হাইকোর্ট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close