সাংবাদিক গৌতম হত্যা: যাবজ্জীবন বহাল ৫ আসামির, খালাস ৪
ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নয় আসামির মধ্যে পাঁচ আসামির সাজা বহাল ও চারজনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
সম্পর্কিত খবর
যাবজ্জীবন বহাল থাকা পাঁচ আসামি হলেন- আসিফ ইমরান, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, আসাদ বিন কাদির, আবু তাহের মো. মোস্তফা ওরফে অ্যাপোল বিশ্বাস এবং তামজিদ হোসেন বাবু।
খালাস পাওয়া চার আসামি হলেন- আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন ও রাজিব হোসেন মনা।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে সাংবাদিক গৌতম দাসকে হত্যার দায়ে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কার এবং পুনর্নির্মাণকাজের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ পরিবেশন করায় ‘সমকাল’-এর নিজস্ব প্রতিবেদক ও ফরিদপুর ব্যুরো কার্যালয়ের প্রধান গৌতম দাসের ওপর ক্ষুব্ধ হয় তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের মদদপুষ্ট ঠিকাদার গোষ্ঠী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী চক্র।
ওই ঘটনার জের ধরে ওই বছরের ১৭ নভেম্বর স্থানীয় ব্যুরো কার্যালয়ে গৌতমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই ‘সমকাল’-এর জেলা প্রতিনিধি হাসান উজ্জামান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০০৬ সালের ২০ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম নবী আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
ওই বছরের ১৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে মামলাটি ২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ স্থানান্তর করা হয়।
মামলার আসামি জাহিদ খান পলাতক অবস্থায় ২০০৬ সালের ১২ অক্টোবর ঢাকায় হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এদিকে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করা হলে আদালত মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার আদেশ দেন। এরপর আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বারবার মামলার কার্যক্রম পেছাতে থাকে। পাঁচ বছর পর ২০১২ সালে হাইকোর্ট আসামিদের আবেদন নাকচ করে নিম্ন আদালতে মামলার কার্যক্রম চলতে বাধা নেই বলে আদেশ দেন। এরপর আবার শুরু হয় মামলার বিচারকাজ। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
২০১৩ সালের ১৯ জুন মামলার যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষ হয় এবং আদালত রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন এবং ২৭ জুন রায় ঘোষণা কেরন।
পিবিডি/এসএম