অরিত্রি আত্মহত্যা: তদন্ত প্রতিবেদন ১০ এপ্রিল
রাজধানির ভিকারুননিসা স্কুলের শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে জন্য আগামী ১০ এপ্রিল দিন ধার্য্য করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) মামলার তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী নতুন এ দিন ধার্য করেন।
সম্পর্কিত খবর
এদিন মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল।
উলেখ্য, রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গত ৩ ডিসেম্বর গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।
এ ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করেন অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী। এমামলা দায়ের পর পুলিশ শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে। পরে আদালত থেকে জামিন পায় হাসনা হেনা।এদিন তিনি আদালতে হাজিরা প্রদান করেন।
এ মামলার বাদি এজাহারে অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে উলেখ করেন, গত ২ ডিসেম্বর অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষার সমাজ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এ জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের (বাদিকে) ডাকেন। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। ফলে বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিযে় অরিত্রি আত্মহত্যা করে।
পিবিডি/এসএম