৭ কোটি টাকা আত্মসাত, পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট
দুই ব্যাংকের প্রায় ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের পৃথক দুই মামলায় পাঁচ ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে উত্তরা ব্যাংক ও এনসিসি ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ওই চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়।
সম্পর্কিত খবর
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
দুদক জানায়, আন্তঃব্যাংকিং রেমিট্যান্সের ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের নারায়ণগঞ্জ শাখার বরখাস্তকৃত ব্যবস্থাপক মো. রোকোনুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। ২০১৪ সালের ১৬ মে নারায়ণগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। অপর আসামিরা হলেন- উত্তরা ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখার প্রাক্তন হেড ক্যাশিয়ার মুক্তার হোসেন ও বরখাস্তকৃত ২য় কর্মকর্তা মো. নিজামউদ্দীন।
অন্যদিকে, এনসিসি ব্যাংকের ৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির কর্মকর্তা এইচ এম নুরুদ্দিন চৌধুরী ও শাহেলা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুদক। ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রমনা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
তদন্তকালে দেখা যায়, আসামি এইচ এম নুরুদ্দিন চৌধুরী বিজয়নগর শাখায় ক্লিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিজে ৩৫টি ভুয়া এন্ট্রি পোস্টিং দিয়েছেন ও তার অধীনস্থ কর্মকর্তা শাহেলা কিবরিয়াকে প্রভাবিত করে তার মাধ্যমে উক্ত সময়ের মধ্যে ১৯টি ভুয়া এন্ট্রি পোস্টিং দিয়েছেন। তিনি বিজয়নগর শাখা থেকে এনসিসি ব্যাংক ভবন শাখায় বদলি হয়ে চলে যাওয়ার পরেও শাহেলা কিবরিয়াকে প্রভাবিত করে আরো পাঁচটি ভুয়া এন্ট্রি পোস্টিং করিয়েছেন। মোট ৫৯টি ভুয়া এন্ট্রির মাধ্যমে সানড্রি অনলাইন ক্লিয়ারিং অ্যাকাউন্ট ডেবিট করে ৩ কোটি ৮৮ লাখ ৪ হাজার ৪৯৬ টাকা বিভিন্ন সময়ে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
পিবিডি/এসএম