Most important heading here
Less important heading here
Some additional information here
Emphasized textSome additional information here
Emphasized textএখনও ততটা খ্যাতি না পেলেও এই পোলিশ সুন্দরী রূপ-গুণের বদৌলতে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। নেট দুনিয়ার উঠতি সেলিব্রেটিদের মধ্যে তিনি অগ্রগণ্য। বলা হচ্ছে পোল্যান্ডের পোজনানের অধিবাসী সুন্দরী ব্লগার এবং ফটোগ্রাফার আরিয়াদনা মায়েস্কা’র কথা।
প্রতিদিন নিজের ওয়েবসাইট, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার এবং ইন্সটাগ্রামে মায়েস্কা তার চিন্তাশীল লেখনী এবং নয়নাভিরাম ছবি পোস্ট করে নিজের আকাঙ্খা-অনুভূতি প্রকাশ করেন। কখনওবা ফুটিয়ে তোলেন নিজের মোহনীয় সৌন্দর্যকে। পাশাপাশি, এসবের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষের সাথে তিনি গড়ে তুলেছেন দীর্ঘস্থায়ী এবং অর্থবহ সম্পর্ক।
পোলিশ এই সুন্দরী ব্লগার-ফটোগ্রাফারের সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানলে আপনি অবাক হবেন –
তিনি বলেন, জীবন একটাই। আর তাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে জানেন মায়েস্কা। আর তাই খুব মনোযোগ দিয়ে বই পড়েন তিনি। আর বইয়ের পাতা থেকে টুকে রাখেন পছন্দসই উক্তিগুলো। বইয়ের ভাল কোনো লাইন কিংবা সুন্দর কোনো লেখা পড়লে সেগুলো নিজে লিখে রাখেন তিনি- যাতে পরে কখনও মন চাইলে সহজেই চোখ বোলানো যায়।
মায়েস্কা বলেন, ‘ছোটবেলায় আমার স্বপ্ন ছিল কবি এবং লেখক হওয়ার। প্রাইমারি স্কুলে থাকতেই আমি গল্প লেখার চেষ্টা করতাম, বইও লিখেছি ছোটবেলায়। যার বেশিরভাগই আমি রেখে দিয়েছি। এরই ধারাবাহিকতায় হাইস্কুলে পড়ার সময় আমি বিভিন্ন জায়গায় রচনা এবং কলাম লেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। পাশাপাশি, ছদ্মনামে আমি একটা ব্লগও চালাই যেখানে আমি নিজের লেখাগুলো প্রকাশ করি। শব্দ নিয়ে খেলা করতে আমার ভাল লাগে। নিজের চিন্তাগুলোকে কাগজে ফুটিয়ে তুলতে আমি ভালোবাসি।‘
এক সময় মায়েস্কার শখ হলো আইটি বিশেষজ্ঞ হওয়ার। তাই বছর দু’য়েক আগে কম্পিউটার সায়েন্সে দুই বছর মেয়াদি একটি কোর্সও করে ফেলেন তিনি।
ক্যামেরা হাতেও বেশ সিদ্ধহস্ত তিনি। এক দশক আগে ছবি তোলায় তার হাতেখড়ি হয়। ছবির বিষয়বস্তুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিদ্ধহস্ত এবং আত্মবিশ্বাসী। শখের বশে ছবি তোলার পাশাপাশি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য যেমন- ওয়েডিং ফটোগ্রাফিও করে থাকেন আরিয়াদনা মায়েস্কা।
জীবনে কখনও ধুমপান করেন নি এই সুন্দরী। তবে কখনও-সখনও অ্যালকোহলের স্বাদ নিয়েছেন বলে সাক্ষাৎকারে জানান মায়েস্কা।
খাবারের ব্যাপারে তিনি খুবই সচেতন। আরিয়ান্দা’র টেবিলে থাকা খাবারের ৯০ ভাগই শাক-সবজি বা ফলমূল জাতীয় খাবার। প্রাকৃতিক, লো-প্রসেসড এবং ভাল উপাদানে তৈরি খাবারই তার রূপের প্রধান রহস্য।
নিজেকে ফিট রাখতে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন মিষ্টি, চিপস আর ফাস্টফুডের মোহ।
হাসতে এবং হাসাতে ভালোবাসেন আরিয়াদনা মায়েস্কা। বন্ধুবান্ধবদের বিভিন্নভাবে হাসিয়ে আনন্দ পান তিনি। তবে টেলিভিশন আর সিনেমা থেকে একটু দূরে থাকতেই পছন্দ করেন এই উঠতি লেখক। পছন্দ করেন ক্ল্যাসিকাল ঘরানার মিউজিক।
২৬ বছর বয়সী গুণবতী এই তরুণী ভালোবাসেন স্বপ্ন দেখতে। তবে সেগুলো অবশ্যই বাস্তবকে ঘিরে। উপভোগ করতে জানেন প্রকৃতির সৌন্দর্যকে। আর তাই তার লেখায় ফুটে ওঠে মাধুর্য, কথা বলে তার তোলা ছবি, দ্যুতি ছড়ায় তার সৌন্দর্য।
সেইসঙ্গে নিজের ভক্তদের প্রতিও কৃতজ্ঞ আরিয়ান্দা মায়েস্কা। তাদের পাঠানো ই-মেইল কিংবা অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠানো মেসেজের জবাব দেওয়ার সাধ্যমত চেষ্টা করেন তিনি। নিজের ব্লগের মাধ্যমে পরিচিত হওয়া মানুষজনের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করেন এই ব্লগার।
/আরিফ