• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘যে কোনো সম্মাননা দায়িত্বকে বাড়িয়ে দেয়’

প্রকাশ:  ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০২:২৫
বিনোদন ডেস্ক

এ বছর পর পর চমৎকার দুটি সুখবর দিলেন অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। একটি হলো অভিনয়ে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবার একুশে পদক ও অন্যটি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি পদে মনোনয়ন পেয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে আজ তার সাক্ষাৎকার

একুশে পদক লাভের অনুভূতি কেমন?

সম্পর্কিত খবর

    নিঃসন্দেহে এটা অসম্ভব একটা গর্বের মুহূর্ত। রাষ্ট্র যখন একজনকে স্বীকৃতি দেয়, তখন সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। যে কোনো সম্মাননা দায়িত্বকে বাড়িয়ে দেয়। আগামী দিনে যাতে কাজ ঠিকমতো করে যেতে পারি, সেই চেষ্টা করে যাব।

    আপনার কাছে একুশে পদকের বিশেষত্ব কী?

    এই পুরস্কার দেশের অন্য যে কোনো অর্জনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। এটি রাষ্ট্রের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার। আরেকটা বিষয়, একুশে পদক দেশের ব্যাপার তো। আমি তো দেশের ব্যাপারে সব সময় বলি, দেশ আমার কাছে সবার আগে। দেশকে অতিক্রম করে কোনো কিছু না। দেশের সঙ্গে চলি আমরা। একুশ নামটাই তো অদ্ভুত, মনের ভিতর অন্যরকম একটা অনুভূতি সৃষ্টি করে। আমি খুবই হ্যাপি।

    প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়ার অনুভূতি কেমন?

    এটা বিশাল সম্মানের ব্যাপার। সবার জীবদ্দশায় এমন সৌভাগ্য হয় না। এই যে আজম খান একুশে পদক পাচ্ছেন, এটা আমাকে আপ্লুত করেছে। আমি খুবই খুশি। জীবিত অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে পারাটা গর্বের ব্যাপার।

    সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনীত হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কিছু জানতে চাই।

    প্রথমেই আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাকে মনোনীত করার জন্য। আমার জন্য এটি একেবারেই নতুন একটি জায়গা। আমি আমার দেশকে অনেক ভালোবাসি। দেশের ঊর্ধ্বে কোনো কিছুই নয় আমার কাছে। আমি চাই প্রধানমন্ত্রী আমাকে দিকনির্দেশনা দিয়ে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবেন। আমি শতভাগ দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব।

    কোন বিষয় নিয়ে আপনার কাজ করার ইচ্ছা আছে?

    আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, আমি তা শতভাগ পালন করার চেষ্টা করব। এ ছাড়া আমার ইচ্ছা আছে নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করার। পাশাপাশি আমি যে জায়গাটাকে ভালোবাসি, মানে সাংস্কৃতিক জগৎ, সেখানকার উন্নতির জন্য কাজ করে যাওয়া আমার দায়িত্ব বলে মনে করি। এই দায়িত্ব সুচারু রূপে পালনের চেষ্টা করে যাব।

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

    আমি সব সময়ই খুব সাধারণ এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করার চেষ্টা করি। সব সময়ই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কানেকটেড থাকার চেষ্টা করি। ছাত্রজীবন থেকেই আমি তা করে আসছি। আগমী দিনগুলোও আমি এভাবেই থাকতে চাই।

    সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close