সিউল দূতাবাসে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত
বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০১৯ উদ্যাপিত হয়েছে সিউল দূতাবাসে। বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে রোববার (১৭ মার্চ) দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর অনন্য জীবন ও স্বাধীনতাসংগ্রাম ও বাংলাদেশের অভ্যূত্থান ও তার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা ব্যক্ত করেন । বঙ্গবন্ধু কোমলমতি শিশুদের ভালবাসতেন সে কথাও উল্লেখ করেন।১৭ মার্চ একটি বর্ণময় দিন।
সম্পর্কিত খবর
তিনি আরো উল্লেখ করেন,ছোটবেলা থেকেই মুজিব ছিলেন মিশুক প্রকৃতির। প্রতিবেশি মানুষের জন্য তার দরদ ও ভালবাসার কমতি ছিল না। খেলার সাথী ও বন্ধুদের সাথে আন্তরিকভাবেই মিশতেন। তার বন্ধুদের মধ্যে যাদের বই, খাতা ও কলম ছিল না তাদেরকে সাধ্যমত সহযোগিতা করতে চেষ্টা করেছেন। বন্ধুর প্রয়োজনে নিজের গায়ের জামা ও ব্যবহৃত ছাতাটি বন্ধুদের বিলিয়ে দিয়ে খালি গায়ে বাড়ি ফিরেছেন। এভাবেই তিনি নিজেকে তৈরি করেছিলেন।একইভাবে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের গড়ে তোলার আহবান জানান।
১৭ ই মার্চ বিকাল তিনটায় সিউল দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত বর্ণিল এই অনুষ্ঠানে সিউলে বসবাসরত বাংলাদেশি শিশু-কিশোর ও সিউল মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোমলমতি শিশুরা অংশ নেন,পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক কোরিয়ান পরিবারও শিশুকিশোর অংশ নেন।অনুষ্ঠানে কোরিয়ান শিশুদের উপস্থিতি বর্ণিলতায় রুপ নেয়।। উল্লেখ্য, জাতীয় শিশু দিবসের মূল অনুষ্ঠানসূচিতে ছিল পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের ও কোরিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতিরজনকের অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ, দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত বাণী পাঠ, শিশু–কিশোরদের অংশগ্রহণে রচনা, চিত্রাঙ্কন, ছড়া-কবিতা প্রতিযোগিতা, শিশুশিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী।
অনুষ্ঠানের পর্বের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। এরপর দিবসটি নিয়ে আলোচনায় বঙ্গবন্ধুর শৈশবের সারল্যপনা , কচি শিশুদের প্রতি গভীর মমত্ববোধ তাঁর শৈশব, বেড়ে উঠাসহ নানা দিক তুলে ধরেন।
শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক আয়োজনে শিশুদের কবিতা আবৃত্তি, এবং গান পরিবেশন উপস্থিত সবাইকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করে। অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রদূত প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন স্থান অধিকারী শিশু–কিশোরদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক শিশু-কিশোরকে দেওয়া হয় শুভেচ্ছা উপহার। চা চক্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
পিবিডি/জিএম