শিগগিরিই কৃষ্ণ গহ্বরের প্রথম ছবি দেখা যাবে
খুব শিগগিরিই কৃষ্ণ গহ্বরের প্রথম ছবি দেখতে পাবেন বিশ্ববাসী। এমনটাই সম্ভাবনার কথা জানাল নাসা। ইভেন্ট হরাইজন টেলিস্কোপ বা ইএইচটি’র গবেষণা প্রথম দফার ফলাফল নিয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) মোট ছয়টি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সেখানেই কৃষ্ণ গহ্বরের প্রথম ছবি প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ ইএইচটি’র গবেষণার বিষয়ই ছিল কৃষ্ণ গহ্বর।
কৃষ্ণ গহ্বর বিশেষজ্ঞ তথা ইওরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির জ্যোতির্বিজ্ঞানী পল ম্যাকনামারা বলেন, ৫০ বছরের আগে কয়েকজন বিজ্ঞানী আমাদের ছায়াপথের মাঝে দেখেছিলেন অত্যন্ত উজ্জ্বল কোনও বিন্দু। সেটার মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই বেশি ছিল যে নক্ষত্রগুলো তাকে প্রদক্ষিণ করত অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। ২০ বছরের মধ্যে সবকয়টি নক্ষত্র প্রদক্ষিণ করে ফেলছে সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র। অথচ তুলনামূলকভাবে আমাদের সৌরমন্ডলের ছায়াপথকে প্রদক্ষিণ করতে সময় লাগে ২ কোটি ৩০ লক্ষ বছর।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেন, এরপরই বিজ্ঞানীরা আন্দাজ করেন যে ওই উজ্জ্বল বিন্দু আসলে কৃষ্ণ গহ্বর। যাকে ঘিরে রয়েছে সাদা গরম গ্যাস এবং প্লাজমার ঘূর্ণি। ওই বিন্দুর মধ্যবর্তী স্থানে সব কিছুই অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে। আপনি এর ভিতরে ঢুকে গেলে পালাতে পারবেন না কারণ আপনার অসংখ্য শক্তির প্রয়োজন হবে। আপনি এর উল্টো দিকে থাকলেই নীতিগতভাবে তা পারবেন। কারণ আমরা আমাদের ছায়াপথের সমতল জায়গায় রয়েছি।
মাইকেল ব্রেমার নামে আরেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী বলেন, একাধিক মানমন্দিরে ছোট ছোট দূরবীক্ষণ যন্ত্র সাহায্যে এত বছর ধরে তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে গিয়েছেন। কারণ একটি বিশাল দূরবীক্ষণ ব্যবহার করলে সেটা তার নিজের ওজনেই ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিল।
কৃষ্ণ গহ্বরের মধ্যবর্তী স্থানে সেটির ভর একটিই জিরো ডাইমেনশনাল পয়েন্টে আটকানো থাকে। এ পর্যন্ত মহাকাশের কৃষ্ণ গহ্বরের রহস্য কেউ ভেদ করতে পারেননি। প্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফএন হকিং তার জীবনের অধিকাংশ সময় এর গবেষণাতেই কাটিয়েছিলেন।
/অ-ভি