হাঁটার ধরন দেখে মানুষ চিনবেন যেভাবে
মানুষ চেনার তো অনেক উপায় আছে। কখনও হাতের আঙুল তো কখনও তিল, কতো ভাবেই না মানুষকে চটজলদি চিনে নেওয়া যায়। এই উপায় অবশ্য কতটা ঠিক বা আদৌ ঠিক কি না সে নিয়ে অনেক বিতর্ক থাকতেই পারে। সেসব বিতর্কে আর নাই বা গেলাম বরং মানুষকে চিনে নেওয়ার আরও একটা উপায় দেখে নেওয়া যাক।
একটি কথা সর্বদা মনে রাখবেন, চাল চলন দেখে কারও স্বভাব, প্রকৃতি তখনই সঠিকভাবে বোঝা যাবে যখন সেই ব্যক্তিটি পূর্ণ বয়স্ক এবং সেই বিশেষ ধরণের হাঁটাহাটি সে ইচ্ছা করে নয়, স্বাভাবিক ভাবেই করে।
সম্পর্কিত খবর
১। অনেকে দ্রুত চলতে খুবই পছন্দ করে। এই ব্যক্তিরা অন্যের কথায় বা বিষয়ে সহজে প্রভাবিত হয় না। এরা একটু আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। তবে তাদের কর্তব্য জ্ঞান প্রখর হয়।
২। ধীর গতির কিন্তু ছন্দবদ্ধ চলন থাকলে ব্যক্তি এমন কিছু করতে চাইবে যা অন্যের চিন্তাধারা থেকে আলাদা হবে।
৩। মাটি আঁকড়ে অর্থাৎ মাটি প্রায় ঘষে ঘষে যারা হাঁটে, তারা কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে চায় না, সবাইকে যাচাই করে নিতে চায়। এরা সবাইকে বাজিয়ে দেখে নেয়।
৪। যারা ধীরে কিন্তু সচেতন পদক্ষেপে হাঁটে, তারা অতি চালাক। তারা সহজে কাউকে চটাতে পছন্দ করে না। এরা মিষ্টি কথায় সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে কাজ আদায় করতে চায়।
৫। অসামঞ্জস্য ভাবে বা ল্যাগব্যাগ করে অনেকের হাঁটার ধরন থাকে। এই সব ব্যক্তির সব কিছুতেই অসচেনতা প্রকাশ পায়। তবে এরা নিজের বিষয়ে বা নিজের কাজ খুব ভালভাবে বুঝে নিতে পারে। এরা অন্যের বিষয়ে খুব একটা মাথা ঘামাতে চায় না।
৬। যারা পায়ের পাতা দুই পাশে ছড়িয়ে হাঁটে তারা ঝুঁকি নিতে খুবই পছন্দ করে। এরা খুবই বিচক্ষণ প্রকৃতির হয়। কোনও কাজ করব মনে করলে যে কোনও প্রকারে তা করে থাকে। এরা খুবই স্বাধীনতা প্রিয় হয়।
/অ-ভি