• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অস্থিতিশীল সবজি বাজার, বাড়তি মাছের দাম

প্রকাশ:  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:০৭ | আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:২৬
নিজস্ব প্রতিবদেক

বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ কমেছে।আর তাই অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে রাজধানীর বাজারগুলোতে সবজির দাম। এ কারণে সাধারণ ক্রেতাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে, গত এক মাসে টানা বেড়েই চলেছে মুরগির দাম। জানুয়ারির মাঝামাঝিতে যেখানে বয়লার মুরগি ছিলো ১২০ টাকা কেজি, আর এক মাসের ব্যবধানে তা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ, গরু ও খাসির মাংসের দাম।এছাড়া বেড়েছে আদা, রসুন ও পিঁয়াজের দাম।

সম্পর্কিত খবর

    শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মিরপুর-১, কাজিপাড়া, শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

    মিরপুর-১ ও কাওরান বাজারে ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। পাশাপাশি দাম বেড়েছে লাল লেয়ার মুরগির। লাল লেয়ার মুরগি আগের সপ্তাহে বিক্রি হয় ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকায়। তা এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায়। অর্থাৎ দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। আর আগের সপ্তাহের মতোই পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে।

    এদিকে মুরগির দামের বিষয়ে মিরপুর-১ নম্বরের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রায় এক মাস ধরে মুরগির দাম বাড়ছে। যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, সে হারে ফার্ম থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই হয়তো বয়লার মুরগির দাম বেড়েছে।

    এদিকে, শীতের সবজি শেষ হয়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে সবজির। রাজধানীর কাওরান বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে বেশ কিছু সবজি। প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পটল ১০০ টাকা ও কচুর লতি ১০০ টাকা

    আগের মতোই প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ২০ টাকা। কাঁচামরিচ প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া প্রতি কেজি গাজর ৩০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও শালগম ২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

    এছাড়া বাজারে প্রতিটি বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকায়, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি আঁটি কলমি ও লাল শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা এবং পুঁইশাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

    এছাড়া সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে পিঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম। দেশি পিঁয়াজ ৫ টাকা বেড়ে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পিঁয়াজ ২২ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। রসুন ১০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, আদা ৯০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

    বিক্রেতাদের মতে, শীতের মওসুম শেষ হওয়ায় পাইকারি বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। তাই এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। এ ব্যবসায়ীর মতে নতুন সবজির আমদানি বাড়লে দাম স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।। তাছাড়া মালামাল পরিবহনের খরচও বেড়েছে।

    মিরপুরের শেওড়াপাড়া বাজারে খালেদা আক্তার নামে এক ক্রেতা বলেন, নতুন সবজিতে একটা আগ্রহ থাকে। কিন্তু দেখুন নতুন প্রায় সব সবজিরই দাম বেশি। তাই কম কম করে কিনতে হচ্ছে।

    অন্যদিকে, গত সপ্তাহের চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছ। রুই মাছ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজি। পাবদা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০থেকে ৫০০ টাকা কেজি। টেংরা মাছের কেজি ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, বাইলা মাছ ৭০০টাকা, বাইম ৬০০ টাকা, পোয়া ৫০০ টাকা, মলা ৪০০ টাকা, খল্লা ৩৫০ টাকা, সোল ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে ইলিশের দাম বেড়েছে হালিতে ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা।

    পিবিডি/জিএম

    ফাইল ছবি
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close