• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অতি উৎসাহী পুলিশ ও শাহীনের সমর্থকরা প্রচারে হামলা চালাচ্ছে: সুলতান মনসুর

প্রকাশ:  ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৫৭ | আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:০২
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন, আমি কোন দলে যোগ দেইনি। আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছি। শুধু একটি নিবন্ধিত দলের পেপার জমা দিতে হয় বলেই নিয়ম রক্ষার জন্য গণফোরামের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় মৌলভীবাজারে প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সম্পর্কিত খবর

    সুলতান মনসুর বলেন, প্রতীক বরাদ্দ পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু এরপর থেকে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ এবং মহাজোট প্রার্থী বিকল্পধারার এম এম শাহীনের উগ্র সমর্থক মিলে যখন তখন আমার প্রচারে হামলা করছে। মিথ্যা এবং গায়েবি মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ থেকে ৬শ কর্মীকে গ্রেফতার করেছে অতি উৎসাহী পুলিশ। এই অবস্থায় প্রতিকূল পরিবেশে আমাকে প্রচার চালাতে হচ্ছে।

    তিনি বলেন, ৭১ সালে হানাদার বাহিনী এ দেশের সাধারণ জনগণের সাথে যে বর্বর এবং নির্মম আচরণ করেছিল সে রকম হামলা ঘটছে স্বাধীন দেশে আমার নির্বাচনি এলাকা কুলাউড়ায়। গত ২৪ ডিসেম্বর বিকালে রাউৎগাঁও ইউনিয়নে গণসংযোগ কালে আমার উপর এবং আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য নবাব আলী আব্বাস খানসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দের উপর পুলিশ বাহিনীর কতিপয় অতি উৎসাহী ও নৌকার সমর্থকরা এক হয়ে হামলা চালায়। আমার ব্যক্তিগত সহকারী শাহিদুর রহমান সাহেদ গুরুতর আহত হয় এবং আমার ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরিশেষে এলাকার সাধারণ জনতার তোপের মুখে পুলিশ বাহিনী পিছু হঠতে বাধ্য হয়।

    সাবেক ডাকসু ভিপি বলেন, সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া ধানের শীষের পক্ষে দেখে আমার প্রতিপক্ষ প্রতিদ্বন্দী নৌকার প্রার্থী এম এম শাহীনের সন্ত্রাসী বাহিনী ও কতিপয় পুলিশ মারাত্মক মারমুখী হয়ে মিথ্যা এবং কাল্পনিক মামলা তৈরির পরিকল্পনা করে। সে অনুযায়ী কাদিপুর ইউনিয়নের ঢুলিপাড়া নামক স্থানে, গত ১৬ ডিসেম্বর নবাবগঞ্জ বাজারে, ১৯ ডিসেম্বর হাজীপুর ইউনিয়ন মনুষ্টেশন বাজারে, ভাটেরা ইউনিয়ন বাজারে ২১ ডিসেম্বর রাতে এবং ২৩ ডিসেম্বর পৃথিমপাশা ইউনিয়নের রবিরবাজারে নামমাত্র অফিস নির্মাণ করে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে আমার সমর্থক ও কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা দে। আমার নিশ্চিত বিজয় দেখে টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের কতিপয় ঘুষখোর কর্মকর্তাসহ উগ্র নেতাকর্মী লেলিয়ে দিয়ে মামলা হামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় মত্ত রয়েছেন। যদিও মাঠে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই তারপরও আমি আশাবাদী অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।

    সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার বারের সাবেক সভাপতি মুজিবুর রহমান মুজিব, সাবেক ৩ বারের এমপি নবাব আলী আব্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আবেদ রাজা প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলন শেষে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে জেলা বিএনপির সদস্য ও কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সজল ও ছাত্রদল নেতা এম. ফয়েজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ।

    /পিবিডি/আরাফাত

    সুলতান মনসুর আহমেদ
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close