সুবর্ণচরের ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির মাধ্যমেই শুরু হোক নির্বাচনে সদ্য জয়ী আওয়ামী লীগের নতুন অভিযাত্রা
নতুন বছর শুরু হলো একটি মর্মান্তিক নৃশংসতার সংবাদের মাধ্যমে।
এক গৃহবধুকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার বাগ্যা গ্রামে। একটি মামলা হয়েছে। একজন গ্রেফতারও হয়েছে। কিন্তু, দৈনিক সমকাল সূত্রে জানা গেছে নৃশংস এই ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনকে আসামিই করা হয়নি!
সম্পর্কিত খবর
নোয়াখালী প্রতিনিধির বয়ানে সমকাল জানাচ্ছে-- ‘মামলার বাদী ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে তার স্ত্রী স্থানীয় ভোটকেন্দ্র চরজুবলীর ১৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান। ভোট দিয়ে ফেরার পথে স্থানীয় রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি তাকে অনুসরণ ও উত্ত্যক্ত করে। তার স্ত্রী এর প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বাড়ি ফিরে আসেন। এ অবস্থায় রুহুল আমিন ও তার লোকজন স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। রোববার গভীর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ৮-১০ জনের একদল সন্ত্রাসী দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়। এতে তার স্ত্রী অচেতন হয়ে পড়েন। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর পরিবারের অন্য সদস্যদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করেন। এ সময় স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু গৃহবধূর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তবে রুহুল আমিনকে কেন মামলায় আসামি করা হয়নি- সে বিষয়ে বাদী বলেন, ‘আমি অশিক্ষিত মানুষ; থানায় গিয়ে ঘটনা খুলে বলেছি। পুলিশকে বলেছি সব লিখে নিতে। তারা কেন রুহুল আমিনের নাম লেখে নাই, বলতে পারি না।’
রুহুল আমিনকে আসামি না করার বিষয়ে চরজব্বার থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘'বাদী যার যার নাম উল্লেখ করেছে, তাদেরই আসামি করা হয়েছে। এখানে পুলিশের কিছুই করার নেই।’[ সূত্র/ দৈনিক সমকাল ০২ জানুয়ারি ২০১৯]
ধর্ষক রুহুল আমিনসহ সব কয়টা ধর্ষককে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো নারীকে কেউ ধর্ষণ করার সাহস না পায়।
আর রুহুল আমিনের নাম আসামীর তালিকায় না লেখা বর্বর ওসি নিজামউদ্দিনেরও কঠিন শাস্তি হতে হবে। ধর্ষকরা আইনের হাত থেকে বেঁচে যায় নিজামদের মতো এরকম পশুর কারণেই। শুধু ক্লোজ করলে হবে না। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে ওসি নিজামউদ্দিনেরও।
ধর্ষকদের বিচার ‘দ্রুত বিচার আইনে’ করতে হবে।
নতুন বছরের শুরুতে এই ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির মাধ্যমেই শুরু হোক নির্বাচনে সদ্য জয়ী আওয়ামী লীগের নতুন অভিযাত্রা। নো মার্সি ফর রেপিস্ট।
ধর্ষকের জন্যে চাই সর্বোচ্চ শাস্তি এবং জিরো টলারেন্স।
অটোয়া ০১ জানুয়ারি ২০১৯