Most important heading here
Less important heading here
Some additional information here
Emphasized textSome additional information here
Emphasized textএক নার্স (সেবীকা) হলি ক্রস মেডিক্যালএর চিকিৎসক হিসেবে কাজ করছেন! গত মাসে তার ফুটফুটে পুত্র সন্তান হয়। আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম সিজারে অনেক বাচ্চাই তো পৃথিবীতে নিয়ে আসলি অপারেশন করে, এখন তোর সিজার কোন চিকিৎসক করবে?
উত্তরে জানায়,
নরমাল ডেলিভারি’র জন্য প্রিপারেসন নেওয়া হয়েছে। কারণ! সিজারে বাচ্চা হলে একজন নারী ২য় ,৩য় বার পুনরায় মা হতে গেলে ঝুকি থাকে ৯০.৭ %। অনেক সময়েই বাচ্চার শরীর ছুরি, কাচি লেগে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতি হয় যা আমাদের দেশের চিকিৎসক গন কাউকেই বলেন না! অর্থের লোভে প্রত্যেক গর্ভবতী মা কে মেডিক্যাল চেকাপ এর আগে থেকে ই বলে রাখা হয় সিজারে বাচ্চা নিতে হবে অন্যথায় মৃত্যু ঝুঁকির ভয় দেখানো হয়।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিসয়ক সংস্থা WHO জানিয়েছে একটি দেশের ১৫% মেয়ে যদি একান্তে ই না পারে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া তে বাচ্চা নিতে, সে ক্ষেত্রে সিজার করাতে হবে ।
আমার দেশে বর্তমান সিজারে বাচ্চা হচ্ছে সে অনুপাতে ৯৭.৩% যা নারী স্বাস্থ্য’র জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এই সিজারে বাচ্চা নিতে গেলে যেমন মা মারা যায় বেশীরভাগ সময় তেমনি ক্ষতি হয় নব জন্ম নেওয়া শিশুটির। সিজারে হওয়া বাচ্চা অনেক বেশী অসুস্থ থাকে একটু খেয়াল করে দেখবেন, যা নরমালে হওয়া বাচ্চাদের হয় না খুব একটা। প্রতি বছর সিজারে বাচ্চা হতে গিয়ে মারা যায় আমাদের দেশে ২৭.৯% মা ,শিশু।
এই ছাড়াও সিজার অপারেশনে রোগীর জন্য রক্ত চাওয়া হয় অনেক সময়ই ১০-১৫ ব্যাগ, যার মধ্যে বড় জোর ২ ব্যাগ রক্ত কাজে লাগিয়ে অন্যগুলো বিক্রি করা হয়। সামাজিক স্ট্যাটাস হয়ে গেছে এখন সিজারে বাচ্চা নেওয়া, যা বর্তমান নারী দেহ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে নীরবে।
চিকিৎসকরা সবই জানেন, বুঝেন কিন্তু হাঁসপাতালের মালিক দের খুশী রাখতে এবং নিজেদের অর্থনীতি কে শক্তিশালী করতে তারা করেন নারীর পেট কাঁটা বিজনেস।
লেখক: ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ, পিজি হাঁসপাতালের গাইনি বিভাগের জনৈক অধ্যাপক।
সূত্রঃ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি
পিবিডি/এসএম