ঘাতক সুপ্রভাত বাসের মালিক আটক
রাজধানীর নদ্দা এলাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দিয়ে হত্যার ঘটনায় সুপ্রভাত পরিবহনের ঘাতক বাসটির (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) মালিক গোপাল চন্দ্র কর্মকারকে আটক করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
তিনি বলেছেন , বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মুগদার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আবরারের বাবার দায়ের করা মামলায় বাসটির মালিক গোপাল চন্দ্রকে আটক করা হয়। গুলশান থানায় দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে ডিবি (উত্তর) পুলিশ।
গত ২৭ মার্চ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, গত ১৯ মার্চ ভোরে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকা থেকে ভোর পৌনে ছয়টার দিকে গন্তব্যে রওনা দেয় সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) রাজধানীর শাহজাদপুরের বাঁশতলা এলাকায় মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া সুলতানাকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর বাসের যাত্রীরা চালক সিরাজুলকে আটক করে ট্রাফিক পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ইয়াছিনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে আব্দুল বাতেন বলেন, এ সময় উপস্থিত জনতা বাসের ক্ষতি করতে পারে এমন আশঙ্কায় বাস মালিক গোপাল চন্দ্র কর্মকার ননীর নির্দেশে ড্রাইভিং সিটে বসেন কনডাক্টর ইয়াছিন। কোনো ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা স্বত্ত্বেও বাস নিয়ে দ্রুত পালানোর সময় নদ্দা এলাকা পার হতেই বিইউপি শিক্ষার্থী আবরারকে চাপা দিয়ে হত্যা করে।
হত্যার পর ইয়াছিন বাসটি রেখে আত্মগোপনে চলে যায়।
পরে মঙ্গলবার রাতে চাঁদপুরের শাহরাস্তি এলাকার একটি ইটের ভাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে মধ্যবাড্ডা থেকে বাসের হেলপার ইব্রাহিমকে প্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ইয়াছিন প্রাথমিকভাবে বাসচাপা দিয়ে আবরারকে খুনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানান আব্দুল বাতেন।
গত ১৯ মার্চ সকালে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ভাটারার প্রগতি সরণি এলাকায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সুপ্রভাত পরিবহনের বাস চাপায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী।
ঘটনার পর থেকেই যমুনা ফিউচার পার্কের সামনের রাস্তা বন্ধ করে প্রগতি সরণি এলাকা জুড়ে বিক্ষোভ শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর তা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
ঘাতক বাস সুপ্রভাত পরিবহনের রুট পারমিট বাতিল, ঘাতক চালকের ফাঁসির দাবিসহ আট দফা দাবিতে বেশ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
পিবিডি/জিএম