আমার মেয়ে নুসরাতের খুনীর ফাঁসি চাই
নুসরাত হতে পারতো আমার মেয়ে।আমাদের মেয়েইতো! তাকে অবশেষে চলে যেতে হলো। চলে যেতে চায়নি নুসরাত। লেখা পড়া করে আলোকিত মানুষ হতে চেয়েছিলো।কিন্তু যৌননিপীড়কের শিকার হয়েছিলো। সমাজের ভয়ে লজ্জায় মুখ বুজে অপমান সহে থাকেনি। প্রতিবাদের দ্রোহে জ্বলে ওঠে আইনের আশ্রয় নিয়েছিলো।আইন তাকে রক্ষা করতে পারেনি। নষ্ট সমাজ এখনো যৌননিপীড়কের পাশে দাঁড়ায়। ঘেন্না প্রতিবাদ করেনা।নুসরাতকে মামলা তুলে নিতে চাপ দিলে মাথা নত করেনি। বর্বর ধর্ষক নিপীড়করা তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।চারদিন বার্নইউনিটে যন্ত্রনায় কাতর হতে হতে চলে গেছে।
নারীর প্রতি যৌননিপীড়ন সবস্তরে সবখানে হয়।মাদ্রসায় মেয়েরা কেনো ছাত্ররাও নিরাপদ নয়। যৌনবিকারগ্রস্ত পুরুষের কাছে সমাজের উচুস্তর থেকে নিম্নস্তর, পরিবার,সমাজ,শিক্ষাঙ্গন,কর্মক্ষেত্র সবখানে নারী নিপীড়কের হাতে শিকার হয়। কেউ সমর্পন করে কেউ মুখবুজে সয়।কেউ প্রতিবাদ করে।এই যৌনহয়রানির বিরুদ্ধে নারী প্রতিবাদ করতে শেখো,পুরুষ মানুষ হও।তার পাশে দাঁড়াও। পুরুষ তুমি মাননুষ হও,ধর্ষক নয়,প্রেমিক হও।মানবিক হও। নারী জাগো।রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ,ধর্ষক ও নিপীড়কদের বিরুদ্ধে।
সম্পর্কিত খবর
নুসরাতের খুনীদের ফাঁসি চাই। আমার মেয়ে নুসরাতের খুনীদের ফাঁসি চাই।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
পিবিডি-এনই