বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে দরপত্র আহ্বান রাজউকের
অবৈধভাবে নির্মিত রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএর দুইটি বেজমেন্টসহ ১৫তলা ভবনটি ভাঙার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
শুধু ভবন ভাঙাই নয়, ভাঙার পরে ব্যবহারযোগ্য মালামাল বিক্রির জন্যও দরপত্র চাওয়া হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
আগামী ২৪ এপ্রিল (বুধবার) বিকাল ৪টার মধ্যে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানদের কোটেশন পাঠাতে বলা হয়েছে।
আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে বহুতল ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
তিন মাসের মধ্যে বহুতল এই ভবনটি ভেঙে মালামাল সরিয়ে ফেলতে হবে, ভবন ভাঙার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কোটেশনে উল্লেখ করা মূল্যের ১০ শতাংশ অর্থ জামানত হিসেবে রাজউকের চেয়ারম্যান বরাবর পে অর্ডার বা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা নিতে হবে।
ভবন ভাঙার জন্য আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আলাদাকরে কোনো অর্থ দেবে না রাজউক। যে বা যারা ভবনটি ভাঙার কাজ পাবেন তারাই মালামাল কেনার দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মালামাল কেনার জন্য সর্বোচ্চ দাম উল্লেখ করবেন তাদের প্রস্তাবই গ্রহণ করবে রাজউক।
এসবের সঙ্গে রাজউক এটাও জানিয়েছে যে, এই ভবন ভাঙার সময় যদি কোনো ব্যক্তি আঘাত পান বা কেউ মারা যান তাহলে সে বিষয়ে রাজউক কোনোভাবেই দায়ী হবে না।
এসব বিষয়ে রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার ওলিউর রহমান বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কীভাবে, কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই যেন ভবনটি ভাঙা যায় সেজন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। কে বা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান এই আহ্বানে সাড়া দেবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। দরপত্র জমা এবং যাচাই বাছাই শেষ হলে বলা যাবে।
কেউ যদি সাড়া না দেয় তাহলে কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এই রাজউক কর্মকর্তা বলেন, কেউ না আসলেও রাজউকের ব্যবস্থাপনা আছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলগালা করার পর বিজিএমই ভবনের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ভবনের ভেতরে এখনও বহু প্রতিষ্ঠানের মালামাল রয়েছে।যা সরিয়ে নিতে প্রতিষ্ঠানগুলো আরও সময় চায়।
পিবিডি/জিএম
