• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

যুবতীকে ধর্ষণের পর হত্যা, পাঁচজনের ফাঁসি

প্রকাশ:  ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৫৮ | আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৫:৩০
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

মিথ্যে পরিচয়ে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভনে বাড়ি থেকে বের করে এনে আয়েশা খাতুন (২০) নামে এক যুবতীতে পালাক্রমে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে প্রত্যেককে ১ লক্ষ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। একই মামলার অপর ধারায় ওই পাঁচজনের প্রত্যেককে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, দশ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডিতরা হলেন- সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা গ্রামের শ্যামাপদ রবিদাসের ছেলে নয়ন কর্মকার রবিদাস(৩২), চরবাগডাঙ্গা চাকপাড়া গ্রামের রতন রবিদাসের ছেলে নিতাই চন্দ্র রবিদাস(৩০), একই গ্রামের মৃত সুচন দাসের ছেলে সুভাষ দাস(৪৬), খোকন রবিদাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস(২৮) ও চরবাগডাঙ্গা সোনাপট্টি গ্রামের বীরেন দাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাস(২৬)।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ এর বিচারক শওকত আলী আসামি নয়ন কর্মকার রবিদাস ও বীরেন দাসের ছেলে প্রশান্ত রবিদাসের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। এসময় দণ্ডিত অপর তিনজন পলাতক ছিলেন। মামলায় তিনজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

নিহত আয়েশা সদর উপজেলার কালিনগর বাবলাবোনা গ্রামের মফিজুল ইসলামের মেয়ে।

মামলার নথি সূত্রে ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী(অতি.পিপি) আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, দণ্ডিত নয়ন রবিদাস মুসলমান যুবকের মিথ্যে পরিচয়ে মোবাইল ফোনে আয়েশার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ২০১৫ সালের ১১ জুন আয়েশা দর্জির কাজ শিখতে বাড়ি থেকে মামা বাড়ি যায়। দু’দিন পর ১৩ জুন বিকেল পর্যন্ত তাকে মামার বাড়িতে দেখা গেছে। এরপর সেখান হতে সে নিখোঁজ হয়। তাকে বিয়ের প্রলোভনে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ওই দিন রাতেই ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে দণ্ডিত পাঁচজন। পরদিন ১৪ জুন সকালে সদর উপজেলার মহারাজপুর মেলা মোড় এলাকার এটি ডোবা থেকে আয়েশার মরদেহ উদ্ধার হয়। ওই বছরের ৯ আগস্ট ময়নাতদন্ত প্রতিবদেন পাবার পর সদর থানার উপপরিদর্শক(এসআই) শামীম আখতার বাদী হয়ে ওইদিনই থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও তৎকালীন সদর থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সরোয়ার রহমান ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

১৪ জনের সাক্ষ্যপ্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার পাঁচজনকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড দেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান।

/অ-ভি

কিশোরী,ধর্ষণ,হত্যা,ফাঁসি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close