• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিজিএমইএ ভবন ফের সিলগালা

প্রকাশ:  ১৮ এপ্রিল ২০১৯, ২৩:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

অবৈধভাবে নির্মিত রাজধানীর হাতিরঝিলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবনের মালামাল সরিয়ে নিতে সময় দেওয়ার পর ফের ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভবনে অবস্থানরত অফিস মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাজউক বিকেল পর্যন্ত ভবন থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার সময় বেঁধে দেয়। এরপর বেলা পৌনে ৬ টার দিকে ফের ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমানের নেতৃত্বে রাজউক কর্মকর্তারা ভবনটি সিলগালা করেন।

এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ওই ভবন সিলগালা করে রাজউক। তার আগে ওই দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভবন থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দেয় রাজউক। এরপর ভবন সিলগালা করা হয়। পরে বিজিএমইএ ও ভবনে থাকা অফিস মালিকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দিনভর মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য ফের সময় দেয় রাজউক।

ভবনের গেটে পুলিশি নিরাপত্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অলিউর রহমান বলেন, ভবনে অবস্থানরত প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমরা তাদের মালামাল সরিয়ে নেওয়া জন্য বিকেল পর্যন্ত সুযোগ দিয়েছি। এরপর পৌনে ছয়টার দিকে আমরা ভবনটি আবার সিলগালা করে দিয়েছি। এখনও কিছু মালামাল আছে। বাকিটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের আলোকে হবে।

রাজউক সূত্র জানিয়েছে, বিজিএমইএ ভবনে এখনও বিজিএমইএ (বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন), এক্সিম ব্যাংক ও ডিবিএল গ্রুপের চারটি ফ্লোরে মালামাল রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আবারও মালামাল সরিয়ে নিতে সুযোগ দেয় রাজউক। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেও তারা মালামাল সরিয়ে নিতে পারেনি। এখনও যেসব মালামাল রয়েছে সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য যদি তারা রাজউকের কাছে সময় চায় তাহলে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিতে পারে।

জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, এখনও অনেক প্রতিষ্ঠানের মালামাল রয়েছে। তবে কী পরিমাণ রয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। যেসব প্রতিষ্ঠানের মালামাল রয়েছে তারা যদি রাজউকের কাছে আবেদন করে তাহলে রাজউক বিবেচনা করবে।’

বিজিএমইএ ভবনে থাকা ডিবিএল গ্রুপের কর্মকর্তারা বলেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব মালামাল সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু সব বের করা সম্ভব হয়নি। আমরা রাজউকের কাছে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করবো।

এর আগে ১২ এপ্রিলের মধ্যে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিলেন আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মাঠে নামে রাজউক। দিনভর মালামাল সরিয়ে নিতে সময় দেয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভবনটি সিলগালা করে রাজউক।

এদিন সকাল থেকে আদালতের রায়ে অবৈধ বিবেচিত বিজিএমইএ ভবন ভাঙার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করে রাজউক। ভবনটির ভেতরে বিজিএমইএ কার্যালয়সহ নানা প্রতিষ্ঠান-অফিস ছিল। তারা সেদিন মালামাল সরিয়ে নিতে চেষ্টা করে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে সব মালপত্র সরিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় অনেক প্রতিষ্ঠান।

পিবিডি/জিএম

বিজিএমইএ ভবন,সিলগালা,রাজউক
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close