‘বিএনপি নেতারা অবান্তর কথা কেন বলছেন, বোধগম্য নয়’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার এমন কোনো বেকায়দায় নেই যে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে, প্যারোলে বা অন্যকোনোভাবে। তিনি আদালত কর্তৃক দণ্ডিত হয়ে কারাগারে আছেন। তার মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে আইনের মাধ্যমে জামিন নিয়ে। প্যারোলের বিষয়টি হলো, যিনি বন্দী তিনি যদি আবেদন করেন তাহলে সরকার বিবেচনা করতে পারেন। কাউকে তো জোর করে প্যারোল দিতে পারে না। বিএনপি নেতারা কেন যে অবান্তর কথাগুলো বলছেন আমার বোধগম্য নয়।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে রূপসী বাংলা জাতীয় ফটো প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতা এবং সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ দাবি করেন। বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সম্পর্কিত খবর
বিশ্বে গণমাধ্যম স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ চার ধাপ পিছিয়েছে শিরোনামে ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাদের প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। সংবাদ প্রচারে কোনো সেন্সরশিপের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়ামও আছে। বেলজিয়ামে আমি পড়াশোনা করেছি। বহু বছর ছিলাম। ওখানে কোনো ভুল সংবাদ প্রচার করা হলে সেই পত্রিকাকে জরিমানা করতে হয়। নানান প্রতিকারমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়, জবাবদিহি করতে হয়। ইংল্যান্ডের ১৫০ বছরের পুরোনো পত্রিকা নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ভুল সংবাদ প্রচারের জন্য তাদের যে জরিমানা গুনতে হয়েছিল তারা তা দিতে পারেনি। পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিল তারা। আমাদের দেশে এমন কোনো ঘটনা এখন পর্যন্ত হয়নি। সুতরাং যে র্যাংকিং করা হয়েছে তার সাথে আমি এক মত নই। তারা এটা কিসের ভিত্তিতে করেছে আমি সেটা জানি না। বিভিন্ন সংস্থা এরকম জরিপ করে থাকে। দেখা যাবে অন্য কোনো সংস্থার জরিপে বাংলাদেশ চার ধাপ উন্নতি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে। গণমাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে। গত ১০ বছরে পত্রিকার সংখ্যা প্রায় ডাবল হয়েছে। টেলিভিশনের সংখ্যা তিন গুন হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো সেন্সরের মধ্যে দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে হয় না। সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। ভবিষ্যতে আরও করবে।
অনুষ্ঠানে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের ভরাপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী উপস্থিত ছিলেন ।
পিবিডি/জিএম