• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

নুসরাত হত্যা: রুহুল আমিনসহ দুইজনকে আদালতে উপস্থাপন

প্রকাশ:  ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:২৫ | আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০১৯, ১৮:২৮
ফেনী প্রতিনিধি

আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সোনাগাজী উপজেলা আ'লীগ সভাপতি রুহুল আমিন, জাবেদ ও কামরুন নাহারকে আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই)।

শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফ উদ্দিনের আদালতে তাদের উপস্থাপন করা হয়। পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

সম্পর্কিত খবর

    এর আগে রুহুল আমিনকে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সোনাগাজী তাকিয়া রোড থেকে আটক করা হয়। কামরুন নাহার মনিকে ১৫ তারিখ সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ এপ্রিল একই আদালতে তাকে ৭দিনের রিমান্ড দেয়া হয়। অপরদিকে জাবেদকে ১৩ এপিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিন থেকে তাকে ৭ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়।

    শুক্রবার বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম‌্যাজিস্ট্রেট সারাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে আবার তিন দিনের রিমান্ড দেয়।

    পুলিশ ব‌্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক শাহ আলম জানান, জাবেদ এবং কামরুন নাহার মনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিবেন বলে কথা রয়েছে। এছাড়াও রুহুল আমিনের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

    এ হত‌্যাকান্ডে গ্রেফতার হওয়া এজহারের আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে জাবেদ ও কামরুন নাহার মনির নাম উল্লেখ করেন। তারা জানায় জাবেদ ও মনি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। জাবেদ নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। মনি বোরখা সংগ্রহ এবং নুসরাতের হাত-পা চেপে ধরে আগুন লাগিয়ে দেয়।

    অপরদিকে এ দু'জনের জবানবন্দিতে উঠে আসে রুহুল আমিন হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানতেন। কিলিং অপারেশনের পর কিলাররা রুহুল আমিনকে ফোন করে, তখন রুহুল আমি বলে আমি জানি তুমি চলে যাও।

    উল্লেখ্য, ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদরাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে, এমন সংবাদ দিলে সে (নুসরাত) ওই ভবনের তৃতীয় তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫ জন ছাত্রী নুসরাতকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়।

    অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল (সোমবার) রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

    ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৪ জন। ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকেও আটক করেছে পিবিআই। রুহুল আমিন নুসরাতের প্রতিষ্ঠান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি। এই কমিটি অবশ্য শুক্রবারই বাতিল হয়ে গেছে।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close