শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে হামলা, নিহত ১৩৮
শ্রীলঙ্কার কলম্বোসহ দেশটির ছয়টি স্থানে তিনটি গির্জা ও তিনটি হোটেলে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে এ পর্যন্ত ১৩৮ জন নিহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ শতাধিক মানুষ।
রোববার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টায় খ্রীস্টান ধর্মালম্বীদের ইস্টার সানডে চলাকালীন সময়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের কলম্বোসহ বেশ কিছু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
সম্পর্কিত খবর
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্টার সানডে’র প্রার্থনা চলাকালে সকালে কলম্বোতে ৬টি স্থানে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি হোটেল ও তিনটি গির্জায় এ বোমা হামলার ঘটনায় ১৩৮ জন নিহত ও ৪ শতাধিক আহত হয়েছেন।
এনডিটিভি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে নয়টার এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩৭ জন নিহত ও আরও ৩০০ জন আহত হয়েছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শ্রীলঙ্কার ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১০০ জন নিহত ও আরও ২০০ জন আহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, হোটেল ও গির্জাসহ ছয়টি বিস্ফোরণের ঘটনায় তিন শতাধিক মানুষ আহত মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স কলম্বোর ন্যাশনাল হাসপাতালের পরিচালকের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রোববার সকালের এ বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত অর্ধশতাধিক নিহত এবং ২৮০ জন আহত হয়েছেন।
যে তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কোচকিকাদে, কাতুয়াপিটিয়া ও বাট্টিকালোয়া নামক স্থানে অবস্থিত। এসব গির্জায় ইস্টার সানডে উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলছিল। তাছাড়া রাজধানীর সাংগ্রি লা, দ্য কিন্নামোন এবং কিংসবারি নামক আরও তিনটি হোটেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। হোটেল তিনটি রাজধানী কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে, কাতুয়াপিটিয়াতে অবস্থিত সেন্ট সেবাস্তিয়ান নামক গির্জার ছাদ ধসে পড়েছে এবং গির্জার মূল স্থানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ লেগে আছে। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, নিহতদের মধ্যে বিদেশি পর্যটকও আছেন।
হার্শা ডি সিলভা নামের শ্রীলঙ্কার এক সংসদ সদস্য (এমপি) জানান, তিনি একটি হোটেল গিয়ে মর্মান্তিক দৃশ্য দেখেছেন। তিনি বলেন, আমি দেখেছি শরীরের বিচ্ছিন্ন অংশ চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। জরুররি সেবাদানকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছেছেন।
হামলার পর কলোম্বোর কাটুয়াপিটিয়ার সেন্ট সেবাস্টিন গীর্জার ফেসবুক পেজে বলা হয়, আমাদের গীর্জায় বোমা হামলা হয়েছে। এখানে যদি আপনার পরিবারের সদস্য থাকেন তাহলে আসুন, তাদের পাশে দাঁড়ান।
কলম্বো ন্যাশনাল হসপিটালের এক কর্মী সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিকভাবে আটজনের চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। তবে আহতের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
কলম্বো পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকারা জানান, স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৯টার দিকে সিরিজ এই হামলা চালানো হয়। তখন অনেকে গির্জায় প্রার্থনা করছিলেন।
/অ-ভি