• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘অর্থমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর লজ্জা থাকা দরকার’

প্রকাশ:  ০১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:০৬ | আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৪:০৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

যারা মানুষ গড়ার কারিগর, যাদের শিক্ষা অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীও নিয়েছেন সেই শিক্ষকরা আজ অভুক্ত। বিনা বেতনে তারা শিক্ষা দিচ্ছেন। নিজেদের দাবি-দাওয়ার পূরণের জন্য রাজধানীতে আসছেন। আমরণ অনশনে নেমেছেন। এসব দেখেও কি অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রীর লজ্জা হয় না’? তাদের লজ্জা থাকা দরকার।বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ কথা বলেন।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে এসব কথা বলেন তিনি। একই সময় সংহতি প্রকাশ করে আন্দোলনে অংশ নেন বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক এম এ সাঈদ।

সম্পর্কিত খবর

    গত ৭ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে এমপিওভুক্তির দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা। গত রোববার থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে নেমেছেন তারা। আজ আমরণ অনশনের দ্বিতীয় দিন।

    সিপিবি সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘একজন শিক্ষক ১২-২০ বছর বেতন পান না। এটা আমাদের জন্য যন্ত্রণার। কষ্টের। সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের লজ্জা থাকা দরকার।

    তিনি বলেন, দেশে ৭ হাজার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারই অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দিতে পারেন, শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন দিতে পারেন না কেন? যারা মানুষ গড়ার কারিগর তারা আজ বেতনের জন্য রাজধানীতে কেন? আপনারাও তো (অর্থমন্ত্রী-শিক্ষামন্ত্রী) শিক্ষকেরই ছাত্র? নাকি স্ব-শিক্ষায় মানুষ হয়েছেন’?

    সরকারের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘লজ্জা থাকলে দ্রুত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিন, তাদের রেহাই দিন। তারা আপনাদের আশ্বাসে নয়, কার্যকরী সিদ্ধান্তে বিশ্বাস করে। তাদের আশায় রেখে আর টালবাহানা করবেন না’।

    প্রিন্স বলেন, শিক্ষকরা যদি আমরণ অনশন না ভাঙ্গেন তবে এটা পুরো জাতির জন্য লজ্জার। এ লজ্জায় আমাদের ফেলবেন না। জানি না সরকারের কানে শিক্ষকদের আহাজারির শব্দ যায় কি না? আশা করি সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। নইলে এখানে যা অবস্থা তাতে মেডিকেল টিম বসাতে হবে।

    আমরণ অনশনে সংহতি প্রকাশ করতে আসা বারডেম হাসপাতালের অধ্যাপক এম এ সাঈদ বলেন, ‘আমিও শিক্ষক। আমি ডাক্তার হতে আসা ছাত্রদের পড়াই। কিন্তু ওদের এ পর্যন্ত আসার জন্য এই স্কুল শিক্ষকদের মহান দায়িত্ব ছিল। তাদের কারণেই আমরা এ পর্যায়ে। তাদের অভুক্ত রেখে জাতি গঠন সম্ভব নয়।

    তিনি বলেন, সরকারের কাছে উদাত্ত আহ্বান, শিক্ষকরা দাবি আদায়ে আমরণ অনশন শুরু করেছেন; তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। তাদের দ্রুত দাবি পূরণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে নিন। অন্যথায় এখানে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়বেন।

    ফাউন্ডেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, টানা ৭ দিন আন্দোলন চালিয়ে গেলেও আমাদের কেউ আশ্বাস দেয়নি। অনেকে অসুস্থ হয়েছেন। সবাই অর্ধাহার-অনাহারে দিন পার করছেন। সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

    /সাজ্জাদ

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close