‘খালেদাকে বাদ দিয়ে কোনো নির্বাচন হবে না’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে এ দেশে কোনও নির্বাচন হবে না।খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অনতিবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। ছাত্রদলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন দুপুর ২টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভেন্যুর ফটকে তালা দেওয়া হয় সকালেই।
সম্পর্কিত খবর
প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের যথাযথ অনুমতি পাওয়ার পরও গেটে তালা দেওয়া অন্যায় দাবি করে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান— স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) থেকে বলা হয়েছে, ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সমাবেশ বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গেলে তালা মেরে দেওয়া হয়। তাদের বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি এই সড়ক দিয়ে যাবেন। তার নিরাপত্তার জন্য সমাবেশকে হুমকি ভাবা হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিবের ভাষ্য, ‘বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে এ দেশে কোনও নির্বাচন হবে না। তাই আমরা বলে আসছি, সংলাপ ও আলোচনার পরিবেশ তৈরি করুন। সুষ্ঠু নির্বাচনের উদ্যোগ নিন।’
মির্জা ফখরুলের মন্তব্য, দেশে কোথাও স্বস্তি, শান্তি ও নিরাপত্তা নেই। তিনি মনে করেন, এই মুহূর্তে ক্ষমতা থেকে সরকারের চলে যাওয়া ও পদত্যাগ করা উচিত। দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিজেদের অধিকার প্রয়োগে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে বাধ্য করতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদের রদবদল প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এটা তাদের মাথাব্যথা। আমার ভাবনা হলো, আমি রাজনীতি করতে পারছি না। কথা বলার স্বাধীনতা পাচ্ছি না। শেষ মুহূর্তে এসে প্রতিটি সরকার এ কাজ করে। তারা মনে করে কিছু রদবদল করলেই ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, উপদেষ্টা আবদুল সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন উন নবী খান সোহেল।
এদিকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের সামনের চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা স্লোগান তুলে সমাবেশ বাস্তবায়ন করার দাবি জানাচ্ছেন। ছাত্রদল নেতা সায়মন কবির শাওন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যে কোনও মূ্ল্যে সমাবেশ করবো আমরা। এ সমাবেশে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া অংশ নেবেন।’
/সাজ্জাদ