• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

সমাবেশ নিয়ে সরকার দ্বৈতনীত অনুসরণ করছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ:  ০৪ জানুয়ারি ২০১৮, ২০:২০
নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে বিএনপিকে জনসমাবেশের অনুমতি দেয়া নিয়ে সরকার ‘দ্বৈতনীতি’ অনুসরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আগামীকাল(শুক্রবার) গণতন্ত্র হত্যা দিবস। ২০১৪ সালের এই ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নতুন করে হত্যা করা হয়েছিলো। কালকে আমাদেরকে পুলিশ কর্তৃপক্ষ সমাবেশ করার অনুমতি নেয়নি, নাকচ করে দিয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিনে জনসভা করবার অনুমতি দিয়েছে। তাহলে বুঝতেই পারছেন।

সম্পর্কিত খবর

    বৃহস্পতিবার সন্দ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটে গ্রাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচনে ‘জাতীয়তাবাদী প্যানেল’ পরিচিত উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে প্যানেলের ২৫জন রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালঢের সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক আখতার হোসেন খান।

    ৫ জানুয়ারিকে ‘কলঙ্কিত অধ্যায়’ হিসেবে অভিহিত করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ওইদিনে সম্পূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়ে একটি ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠান করে তারা(সরকার) দেশের একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করেছে।

    শুক্রবার সমাবেশের অনুমতির না পাওয়ার পরবর্তি সিদ্ধান্ত রাতে গণমাধ্যমকে জানানো হবে জানান বিএনপি মহাসচিব।

    এদিকে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘একদলীয়’ নির্বাচনের বর্ষপূতিতে জনসমাবেশের অনুমতি না পাওয়ায় শুক্রবার রাজধানীতে কোনো কর্মসূচি নেই বিএনপির। তবে ঢাকার বাইরে তারা মহানগর-জেলা-উপজেলায় ‘কালো পতাকা’ মিছিল করবে।

    পুরো পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে দলের সিদ্ধান্ত জানাতে সকাল ১১টায় নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

    ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটরা হলেন-অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড. উম্মে কুলসুম রওজাতুর রোম্মান, এ কে এম ফজলুল হক, এ টি এম আবদুল বারী(ড্যানি). অধ্যাপক এ টি এম ফজলুর করীম, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ডা. এস এম রফিকুল ইসলাম(বাচ্চু), কে এম আমিরুজ্জামান শিমুল, ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ড. জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ডা. প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড. মোহাম্মদ আবদুর রব, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ডা. মোহাম্মদ রফিকুল কবির লাবু, মো. আশরাফুল হক, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ড. মো শরীফুল ইসলাম দুলু, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মো. সেলিমুজ্জামান মোল্যা, শওকত মাহমুদ ও ড. সদরুল আমীন।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবে উপাচার্য্ অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ আল নোমান, গ্র্যাজুয়েটস প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থী অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম, ডাকস‘র সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, সাবেক ছাত্র নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, ছড়াকার আবু সালেহ, প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম, ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ড. লুৎফর রহমান, জাকির হোসের, রফিকুল ইসলাম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আগামী ৬ জানুয়ারি ও ১৩ জানুয়ারি সারাদে্শে এবং ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হবে।

    জাতীয়তাবাদী প্যানেলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে গণতান্ত্রিক ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার আহবান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close