• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

‘বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে সময় লাগবে দেড় মাস’

প্রকাশ:  ২৭ জুলাই ২০১৮, ১৮:৪০ | আপডেট : ২৭ জুলাই ২০১৮, ২১:৪৬
দিনাজপুর প্রতিনিধি

কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া দিনাজপুর পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পেট্টোবাংলার চেয়ারম্যানসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, কয়লা পাওয়ার পর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আবার চালু হবে এ জন্য সরকারকে অপেক্ষা করতে হবে আরো প্রায় দেড় মাস। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করার পরিকল্পনা নেয় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়।

শুক্রবার (২৭ জুলাই) সকালে বন্ধ হওয়া তাপ বিদ্যুত কেন্দ্র ও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি পরিদর্শনে আসেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ড.আহম্মেদ কালকাউস, বিদ্যুৎ সচিব আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোঃ ফয়জুল্লাহ ও পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদুল ইসলাম।

সকাল ৯টা থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টা তারা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকা ঘুরে দেখে কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন। এ সময় তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আঃ হাকিম সরকার ছাড়াও বিদ্যুত বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো: ফয়জুল্লাহ জানান, যারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দ্রুত কয়লা উৎপাদনের পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম থেকেই খনির উত্তোলন শুরু হবে।

জ্বালানি সচিব ড.আহম্মেদ কালকাউস সাংবাদিকদের জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লা না থাকায় বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রটি চালু করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে বড়পুকুরিয়ার নতুন ফেজে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়ে যাবে। কয়লা উত্তোলন শুরু হলে সে কয়লা দিয়ে প্রথমেই একটি ইউনিট পরে অন্য দুইটি ইউনিট চালু করা হবে।

জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম বলেন, রংপুর বিভাগের পিক আওয়ারে বর্তমানে ১০০ থেকে ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। তার পরেও দূর্ভোগ মোকাবেলায় সরকার অন্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে রংপুর অঞ্চলে সরবরাহ করছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ইয়ার্ড থেকে ১লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উধাও ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পার্বতীপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি দুদক তদন্ত করছে।

এছাড়াও পেট্রোবাংলারও একটি টিম তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে তিনি উল্লে­খ করেন। এর আগে তারা বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কোল ইয়ার্ড পরিদর্শন করেন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক এবিএম কামরুজ্জামান বলেন, পূর্বের ফেজে কয়লা শেষ হওয়ায় গত ১৯ জুন থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। নতুন ফেজে মেরামত কাজ শেষ হলে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় কয়লা উৎপাদন শুরু হলে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরববরাহ করা হবে।

/পি.এস

দিনাজপুর,কয়লা খনি,পেট্টোবাংলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close