• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং সংঘর্ষ-হামলার ঘটনা

প্রকাশ:  ০৭ আগস্ট ২০১৮, ০৪:১৭
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে দেশের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়েছে। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে গত ২৯ জুলাই বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনার বিচার চেয়ে ৯ দফা দাবিতে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীর রাজপথে নেমে আসার পর থেকে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হচ্ছে। সোমবার প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন তুলে ধরা হলো।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা দি নিউইয়র্ক টাইমসেরর ‘ছাত্র বিক্ষোভ সরকারের জন্য বিব্রতকর’ শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, সামনে জাতীয় নির্বাচন। এ সময়ে ছাত্রবিক্ষোভ সরকারের জন্য একটি বিব্রতকর অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল ছাত্রদের এই বিক্ষোভের জন্য প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও এর প্রধান মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করছে। বলা হচ্ছে, এ দুটি দল তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করছে।

সম্পর্কিত খবর

    প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকায় হাজারো ছাত্রদের বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়েছে। তাদেরকে লাঠিপেটা করেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারী ছাত্রদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় পুলিশ। এ সময় এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, স্কুলের পোশাক পরে কিছু ‘ক্রিমিনাল’ সহিংসতায় যোগ দিয়েছে। তবে হামলার জন্য ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনকে দায়ী করেছে বেশির ভাগ বিক্ষোভকারী। এসব সংঘর্ষের ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে টেলিভিশন স্টেশনগুলো। তাতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারী ছাত্ররা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুঁড়ছে।

    এতে বলা হয়, দেশের অন্য এলাকা থেকে বাস কোম্পানিগুলো ঢাকায় প্রবেশ করতে অনীহা প্রকাশ করেছে। এতে রাজধানী ঢাকা ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের অন্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে বাস হলো মূল চলাচলের মাধ্যম। এখানে রেলে প্রচন্ড ভিড় হয়। আর বেশির ভাগ মানুষের প্রাইভেট কার কেনার সামর্থ নেই। বাস কোম্পানিগুলোর মালিক ও শ্রমিকরা বলেছেন, কয়েক ডজন বাস ভাঙচুর করা হয়েছে ঢাকা ও অন্যান্য স্থানে। আগুন দেয়া হয়েছে। তাই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা বাস চালাবেন না।

    অস্ট্রেলিয়ার প্রভাবশালী সংবাদপত্র ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ এর প্রতিবেদন বলা হয়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে পুরো ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন অংশ অচল করে দিয়েছে। সরকার হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা রাস্তায় অবস্থানের মাধ্যমে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। গত ২৯ জুলাই বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার কথা বলা হয় সিডনি মর্নিং হেরাল্ডের প্রতিবেদনে। আন্দোলনের বিস্তারিত খবরের পাশাপাশি আন্দোলন রুখে দেওয়ার চেষ্টায় পুলিশের হামলা ও ইন্টারনেটের বন্ধ বা গতি কমিয়ে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, আন্দোলনকারীদের ভাষ্য, সরকার ইন্টারনেট সেবায় ব্যাহত করে বাক্‌স্বাধীনতায় বাধা প্রদান করছে। প্রতিবেদনটিতে প্রকাশ করা হয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে মোবাইল অপারেটরা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে পারছে না।

    গত শনিবারের সংঘর্ষকালে ঘটনাস্থলে ছিলেন এপি’র এক সাংবাদিক। তিনি বলেছেন, কিছু সাংবাদিকসহ অনেক মানুষ ওই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। দ্য ডেইলি স্টার খবর প্রকাশ করেছে যে, এতে আহত হয়েছে ২৫ জন। তবে অন্য সংবাদ মাধ্যম এ সংখ্যা আরো বেশি বলে উল্লেখ করেছে। দুটি বাসের বেপরোয়া গতির কারণে কলেজ পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এরপরই গত সপ্তাহের রোববার থেকে বিক্ষোভ প্রতিবাদে উন্মাতাল হয়ে ওঠে ঢাকা। তারা প্রায় এক কোটি মানুষের শহর ঢাকাকে অচল করে দেয়। যে দুটি বাস যাত্রী ধরার জন্য ওই সময় পাল্লা দিচ্ছিল, তাতেই ওই দুই শিক্ষার্থী মারা যান। এমন প্রতিযোগিতা ও মৃত্যুর ঘটনা ঢাকা শহরে নিয়মিতই ঘটে থাকে।

    এতে আরো বলা হয়,সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে ছাত্রদের এই বিক্ষোভে সমর্থন দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের দাবি যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে এবং তা দফায় দফায় পূরণ করা হবে। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বাংলাদেশে নিরাপদ সড়ক দাবি করছে। এ খাতটি দুর্নীতিতে সয়লাব। এ খাতে রয়েছে লাইসেন্সবিহীন চালক ও রেজিস্ট্রিবিহীন যানবাহন। এ চিত্র ঢাকার একটি সাধারণ ঘটনা। প্রতি বছর দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১২০০০ মানুষ মারা যান। এর জন্য দায়ী ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ও ট্রাফিক আইন প্রয়োগে শিথিলতা।

    মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সপ্তাহ ধরে চলমান আন্দোলনে ঢাকা কার্যত স্থবির। সব স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্রদের ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া ও পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা আনতে কাজ করা হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে।

    রোববার আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দূর্বৃত্তরা অনেক সাংবাদিককে পিটিয়েছে এবং তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। চলমান আন্দোলন নিয়ে এদিন প্রথমবারের মতো সরাসরি কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সকল অভিভাবক ও বাবা-মাকে অনুরোধ করব, তারা যাতে তাদের সন্তানদের ঘরে ফিরিয়ে নেয়। তারা যা করেছে, সেটি যথেষ্ট। আমাদের পুলিশ রাস্তায় শৃঙ্খলা আনতে সপ্তাহব্যাপী পদক্ষেপ শুরু করেছে।’

    প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, দূর্বৃত্তরা অনেক সাংবাদিককে পিটিয়েছে এবং তাদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ৪ জুলাই, শনিবার ঢাকার জিগাতলায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সংবাদও গুরুত্ব পায় বিশ্বের প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোতে।

    এবিসি নিউজের খবরে ৪ জুলাইয়ের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকার ধানমন্ডি এলাকায় পুলিশ ও সরকার সমর্থক কর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করেছে এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বার্তা সংস্থা এপির একজন সাংবাদিকের বরাত দিয়ে বলা হয়, এ সংঘর্ষে কয়েকজন সাংবাদিকও আহত হয়েছেন।

    প্রায় একই তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে এপি।

    ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংতায় রূপ পেয়েছে। জিগাতলা এলাকায় পুলিশ ও সরকার সমর্থক কর্মীদের হামলায় বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়েছে এবং তাদের অনেকে পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শনিবার ঢাকার বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার তথ্য জানাচ্ছে টেলিগ্রাফ। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পরিবহন খাত ব্যাপকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত, ভয়াবহ এবং অনিয়ন্ত্রিত বলে মনে করা হয়। জিগাতলায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ শিক্ষার্থীদের দিকে রাবার বুলেট ছুঁড়েছে বলে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান এ দাবি অস্বীকার করেছেন বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

    জিগাতলার ঘটনায় কতজন আহত হয়েছেন, তার একটি চিত্র তুলে ধরেছে টেলিগ্রাফ। হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়াডের্র একজন ডাক্তার আব্দুস সাব্বির বলেন, ‘আমরা বিকেল থেকে ১১৫ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। আহতরা অনেকেই রাবার বুলেটবিদ্ধ হয়েছেন। কয়েকজনের অবস্থা ছিল গুরুতর।’

    যুক্তরাজ্যের আরেকটি প্রভাবশালি পত্রিকা ডেইলি মেইল শিক্ষার্থী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ডজন খানেক আহত হয়েছে জানিয়ে খবর প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ নেতারা দাবি করছে ছাত্রদের আন্দোলনে স্কুলছাত্রের ড্রেসে দুষ্কৃতিকারীরা প্রবেশ করেছে। এছাড়া, নিরাপত্তার অভাবে পরিবহন মালিকরা বন্ধ রেখেছেন সকল গণপরিবহন। বিস্তারিত প্রতিবেদনে ছাত্রদের দাবি দাওয়া তুলে ধরাসহ রক্তাক্ত অবস্থায় এক ছাত্রকে উদ্ধারের ভিডিও জুড়ে দেওয়া হয়েছে।

    বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, জিগাতলায় শনিবারের সংঘর্ষে ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। নিশ্চিতভাবে হামলাকারীদের পরিচয় জানা না গেলেও এরা ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সদস্য হতে পারে বলে রিপোর্টটিতে বলা হয়। একজন চিকিৎসকের পরিচয় জানিয়ে বলা হয় একশ’র বেশি শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের কিশোর-কিশোরীরা অভূতপূর্ব আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। সড়কে তারা পুলিশের চেয়ে দায়িত্বশীল আচরণ করছে। তারা রাস্তায় সবার লাইসেন্স চেক করছে এমনকি ভিআইপিদেরও ছেড়ে কথা বলছে না। প্রতিবেদনটিতে ঢাকার রাস্তায় সুশৃঙ্খল যানবাহনের বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়। সুযোগসন্ধানীরা শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে ঢুকে পড়তে পারে বলেও প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়।

    পাকিস্তানের পত্রিকা ডন এর খবরে বলা হয়, ঢাকার জিগাতলায় পুলিশ ও ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে ১১৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। পুলিশ, শিক্ষার্থীদের ওপর রবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এধরনের অভিযোগ প্রত্যাখান করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি পূরণ হওয়া ছাড়া রাস্তা ছাড়বেনা বলেও জানানো হয়।

    অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভ বাংলাদেশে বিরল এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার দলের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা সরকার বিরোধী মনোভাব তৈরির জন্য এই বিষয়টি ব্যবহার করছে। তিনি এ জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া পরিচালিত প্রধান বিরোধী দলকে দোষারোপ করেন। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঘটনার সঙ্গে দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করে বিএনপি। এই দুই দলের মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব কয়েক দশক ধরে চলে আসছে বলেও বলা হয় প্রতিবেদনটিতে।

    নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং এতে হামলা ও আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তারের খবর গতকাল সোমবারও বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে স্থান পেয়েছে। খবর সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের ওপর হামলা এবং দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন পাসের উদ্যোগের খবর বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে সাক্ষাৎকার দেওয়ায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের গ্রেপ্তারের বিষয়টিও খবরে গুরুত্ব পায়।

    যুক্তরাজ্যের সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ঢাকায় অজ্ঞাতপরিচয়ের সশস্ত্র লোকজন সাংবাদিক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে।

    যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নের উদ্যোগের বিষয়টি উঠে এসেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা এবং আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের গ্রেপ্তারের বিষয়ও রয়েছে এই খবরে।

    এএফপির খবরে বলা হয়, রাজধানীতে গত শনিবার পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটের আঘাতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। রোববার পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সেই সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনও হামলা চালায়। এর আগে শনিবার রাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা হয়।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close