‘কয়লা গায়েবে’ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হবে না
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া খনি থেকে প্রায় দেড় লাখ টন কয়লা ‘গায়েবের’ ঘটনায় গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলেও তা প্রকাশ করা হবে না। তিনি বলেন, আমরা তদন্তের দুটি রিপোর্ট পেয়ে গেছি ইতিমধ্যে। কারা কারা জড়িত এবং কীভাবে হয়েছে বা কীভাবে করতে যাচ্ছে সেটা রিপোর্ট জেনেছি। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। আমরা আগেই বলেছি কোরো রকম দুর্নীতিকে আমরা প্রশ্রয় দেব না।
রোববার (২৬ আগস্ট) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিমিয় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে যে কয়লা চুরি হয়েছে তা ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এটি দুই দিনে ঘটেনি। যে পরিমাণ কয়লা চুরি হয়েছে তা বহন করে নিতেও ৩০ হাজার ট্রাক লেগেছে। ভাগ্য ভালো যে শেখ হাসিনা সরকারের সময় এটি ধরা পড়েছে। শেখ হাসিনা সরকার যে কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করে না তার প্রমাণ এটি।
তিনি বলেন, বড় পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে না গেলে চুরির বিষয়টি আমরা জানতাম না।
নসরুল হামিদ বলেন, জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সরকার এক লাখ টন কয়লা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এ জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। পরে জানা যাবে কোন দেশ থেকে আনা হবে।
তিনি বলেন, খনিতে যেকোনও সমস্যা হতে পারে। আপদকালীন মজুদ হিসেবে এই কয়লা আনা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। তবে পুরোপুরি চালু হতে অক্টোবর লেগে যাবে।
এনএলজি আমদানির ফলে বিদ্যুতে সরকার ভর্তুকি বাড়াবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এনএলজি আমদানির ফলে বিদ্যুতে ভর্তুকি বাড়বে না এবং বিদ্যুতের দামও সহনীয় থাকবে।
বিদ্যুতের দাম কমানো হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বার্ক) ওপর নির্ভর করে। আমরা আমাদের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছি।
তিনি বলেন, জনগণের ওপর যেন কোনো চাপ না পড়ে সেদিকে নজর রেখেই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি। শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। কাজেই জনগণের চাপ হয় এমন সিদ্ধান্ত সরকার নেবে না।
/এসএম