• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কয়লা কেলেঙ্কারি: দুদকে পেট্রোবাংলার আরও আট কর্মকর্তা

প্রকাশ:  ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১১:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক

দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়ায় কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় পেট্রোবাংলার আরও আট কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হয়েছেন। এ নিয়ে কয়লা কেলেঙ্কারিতে সব মিলিয়ে ৩২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক।

বৃহস্পতিবার (৩০ আগস্ট) সকাল পৌনে ১০টায় পেট্রোবাংলা ওই ৮ কর্মকর্তা দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন।

ওই আট কর্মকর্তা হলেন- পেট্রোবাংলার উপ-ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মো. খলিলুর রহমান, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (ফাইন্যান্স) আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী ও গোপাল চন্দ্র সাহা, ব্যবস্থাপক (হিসাব) সারোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক (সেলস ও রেভিনিউ কালেকশন) মো. কামরুল হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং ও কাস্টমার সার্ভিসেস) মোহাম্মদ নোমান প্রধানীয়া, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম ও শরিফুল আলম এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) আল আমিন।

দুদকের উপ-পরিচালক ও এ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম এবং উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে বুধবার ( ২৯ আগস্ট) দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হন বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হাবিব উদ্দিন আহমদসহ আট জন। এরা হলেন হাবিব উদ্দিন আহমদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন), কোম্পানি সেক্রেটারি আবুল কাশেম প্রধানীয়া ও মোশারফ হোসেন সরকার, মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিস) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) জাহিদুল ইসলাম এবং উপ-ব্যবস্থাপক (সেফটি ম্যানেজমেন্ট) একরামুল হককে।

তারও আগে মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) জিজ্ঞাসাবাদ হন পেট্রোবাংলার আরও আট কর্মকর্তার। তারা হলেন- মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, উপ-মহাব্যবস্থাপক এ কে এম খালেদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) মোরশেদুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট) জাহেদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (ভেন্টিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) সৈয়দ ইমাম হাসান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্ল্যানিং অপারেশন) জোবায়ের আলী।

গত ১৬ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকে হাজির হন সাত কর্মকর্তা। তারা হলেন- উপ-মহাব্যবস্থাপক (মেনটেন্যান্স অ্যান্ড কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট) মো. নাজমুল হক, ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান, ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. সাইদ মাসুদ, উপ-ব্যবস্থাপক (মেনেটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মাহাবুব হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. মনিরুজ্জামান, সহকারী ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহাবুব রশিদ ও ব্যবস্থাপক (স্টোর) মো. দিদারুল কবির।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক চার এমডি এস এম নুরুল আওরঙ্গজেব, প্রকৌশলী খুরশীদুল হাসান, আমিনুজ্জামান ও মিজানুর রহমান এবং মহা-ব্যবস্থাপক (সারফেস অপারেশন) সাইফুল ইসলাম সরকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

গত ১৩ অগাস্ট পেট্রোবাংলার ৩২ জনকে তলব করে চিঠি দেয় দুদক। কয়লা দুর্নীতির ঘটনায় গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান।

পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম।

এজাহারে বলা হয়, খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদ, কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নূর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খালেদুল ইসলামসহ খনির ব্যবস্থাপনায় জড়িত অপর আসামিরা ওই কয়লা চুরির ঘটনায় জড়িত।

অন্য যাদের আসামি করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই ব্যবস্থাপক, উপ-ব্যবস্থাপক ও সহকারী ব্যবস্থাপক পর্যায়ের কর্মকর্তা।

/এসএম

দুদক,কয়লা কেলেঙ্কারি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close