• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘ক্যামেরা ট্রায়াল নয়, নিরাপত্তার জন্যই কারাগারে আদালত’

প্রকাশ:  ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কারাগারে আদালত বসানোটা ক্যামেরা ট্রায়াল ছিল না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই কারাগারে আদালত বসানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজ ঢাকায় দৈনিক সমকাল আয়োজিত ‘সমতলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও দলিত জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা: প্রাতিষ্ঠানিক নীতি কাঠামোর দাবি’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন। পরে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

আনিসুল হাক বলেন, একটা কথা উঠেছে, এটা ক্যামেরা ট্রায়াল। যে প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়েছে, সেই প্রজ্ঞাপনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির কারণ স্পষ্ট করে বলা আছে। ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞা হচ্ছে, যেখানে কাউকে কোনো ‘পাবলিক বা মিডিয়া’কে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যেখানে শুধু বিচারক, আসামি আর প্রয়োজন হলে তাঁর আইনজীবীকে রাখা হয়। এমনকি তাঁর কোনো তথ্যাদি প্রকাশও করা যাবে না। এমন যদি হয়, তাহলে ক্যামেরা ট্রায়াল হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন গত সাত মাস যাবৎ এই আদালত বসছেন। এই সাত মাসে মূল আসামি আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না। নিরাপত্তার কারণে বা অন্য কোনো কারণে তিনি যখন হাজিরা দিচ্ছেন না, তখন সেটার সুবিধার্থে নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করার জন্য সেখানে আদালত বসানো হয়েছে। এতে কারও অধিকার খর্ব করা হয়নি।

নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা না করে বিচারকে কীভাবে বয়কট করা যায়, বিএনপির আইনজীবীরা সে চেষ্টাই করছেন বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতে শুধু এটাই প্রমাণিত হয়, তাঁরা নিজেরা নিজেদের দোষী সাব্যস্ত করছেন। সে কারণে তাঁরা বিচারের সম্মুখীন হতে চান না। তাঁরা যদি নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পারেন, তাতে কোনো অসুবিধা নেই। বিচার সুষ্ঠু হচ্ছে এবং সুষ্ঠু হবে। ন্যায়বিচার তাঁরা পাবেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, গতকাল (বুধবার) আপনারা দেখেছেন, জিয়া চ্যারিটেবল মামলার আসামি খালেদা জিয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাহলে এটা প্রমাণিত হয় যে এই আদালত সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। যেখানে আদালত বসানো হয়েছে, সেখানে কারও প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ নয়। এটা ক্যামেরা ট্রায়ালের সংজ্ঞাতেও পড়ে না।

আদালতে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আনিসুল হক বলেন, ‘এটা হয়তো তাঁর ইমোশনাল বক্তব্য। এটাকে আমি খুব একটা গুরুত্ব দেব না।’ খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের পাঠানো আইনি নোটিশের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কপি হাতে পাইনি। হাতে পেলে সিদ্ধান্ত নেব।’

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীই একমাত্র ঘোষণা দিতে পারেন, কখন তিনি নির্বাচনকালীন সরকার করবেন। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার বলে সংবিধানে কিছু নেই, এটাও ঠিক। আবার নির্বাচনকালীন সরকার হতে পারবে না—এমন কথাও কিন্তু সংবিধানে নেই। নির্বাচনের সময়ে যেহেতু নীতিনির্ধারণ হয় না। সেই সময়ে বাংলাদেশের জনগণের অর্থ যাতে নষ্ট না হয়, সে কারণে তিনি তাঁর মন্ত্রিপরিষদের আকার ছোট করে আনবেন। সেটাকেই তিনি বলছেন নির্বাচনকালীন সরকার। সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে আছে, নির্বাচনের সময় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সব দায়িত্ব পালন করবে।

আরপিও সংশোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয়ে এসেছে, সেটা দেখা হচ্ছে। সমকাল পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফির সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব জাফর আহমেদ খান প্রমুখ।

আইনমন্ত্রী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close