• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

‘অ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের সহায়তায় কারখানগুলোতে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে’

প্রকাশ:  ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০১ | আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৬:০৪
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৩ সালে থেকে অ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের সহায়তায় তৈরি পোশাক কারখানগুলোতে বিশাল পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ কারখানারগুলো মধ্যে পড়ে। এ সময়কালের একটা বড় অংশই আমি এদেশে ছিলাম বলে স্বচক্ষে এই রূপান্তরটা প্রত্যক্ষ করেছি। আমি জানি এটা ছিলো খুবই কঠিন আর ব্যয়বহুল একটি প্রক্রিয়া।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) কনফারেন্স রুমে দেওয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মাধ্যমে এ দেশের লাখো শ্রমিক দারিদ্র্যের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। আগামীতে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের বিশেষ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কষ্টার্জিত অগ্রগতিকে ধরে রাখার পরামর্শ দেব।

বার্নিকাট আরও বলেন, পোশাক শিল্পে সামনে সবচেয়ে বড় বাধা শ্রমিকদের অধিকারের বিষয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এ বিষয়ের অগ্রগতি ছিলো শ্লথ। আমি এ কথাটি অরনেকবার জোর দিয়ে বলেছি। আবারো বলব, আন্তর্জাতিক শ্রমনীতি মেনে চলা বুদ্ধিমানের কাজ। এজন্য দ্রুত আইনগত পরিবর্তন জরুরি, এটা সম্ভব করা গেলে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বাড়াবে। কারণ, ভোক্তারা এখন ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শ্রম ইস্যুগুলো বেশি বিবেচনায় নেয়। আর শ্রমনীতি মানতে দেরি করলে এ দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি বার বার জোর দিয়ে বলছি, আন্তর্জাতিক শ্রম নীতিগুলো মেনে চলা শুধু সঠিক কাজই নয়, এটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমি আপনাদের যতো দ্রুত সম্ভব আইনগত প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে উৎসাহিত করতে চাই। বিষয়টিকে দীর্ঘায়িত করলে কোনো লাভ হবে না। আইনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার পাশাপাশি কার্যকর করলে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা বাড়বে। এটি বিশ্ব বাজারে তৈরী পোশাকের অংশ বিস্তৃত করতেও সহায়ক হবে। বলেন রাষ্ট্রদূত।

বাংলাদেশের পোশাক কারখানা সংস্কারে যে বিনিয়োগ হয়েছে সে বিষয়ে বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, এই বিনিয়োগের সুফল আপনারা পাবেন, যদি আত্মতৃপ্তিতে না ভোগেন। কারণ সামনের দিনে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, জাতীয় কর্ম পরিকল্পনার আওতায় কারখানাগুলোর সংস্কার কাজ শেষ করা ও সংস্কারে অর্জিত অগ্রগতি বজায় রাখা।

মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পুর্নবহাল রাখার আহবান জানান বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। স্বল্পন্নোত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া পর্যন্ত মার্শা বার্নিকাট সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা করেন সিদ্দিকুর।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মার্শা বার্নিকাট বাংলাদেশ ও দেশের পোশাক খাতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। ২০১৪ সালের শেষার্ধে তিনি এমন সময় এসেছিলেন যখন রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর শিল্পটি হুমকির মুখে পড়ে। পোশাক শিল্পের সেই সংগ্রামমূখর সময়ে তিনি শিল্পের রুপান্তর প্রক্রিয়ায় সব ধরণের সহযোগীতা দিয়েছেন।

ওএফ

বার্নিকাট,শ্রমিক,বিজিএমইএ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close