কোটা বহালের দাবিতে শনিবার মহাসমাবেশ
সরকারি চাকরিতে ১ম ও ২য় শ্রেণিতে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) সকাল থেকে অবরোধের ফলে শাহবাগ চত্বরকে ঘিরে থাকা সবগুলো সড়কেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
নিউমার্কেট থেকে শাহবাগমুখী যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ যানজটে বসে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া আর কোনও গাড়ি শাহবাগের দিকে আসতে দেওয়া হচ্ছে না। একদিকে বাংলামোটর ও মৎস্য ভবন থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীদের অনেকেই গণপরিবহন না পাওয়ায় হেটে যেতে দেখা গেছে।
মিরপুর-১০ নম্বর থেকে শাহবাগগামী রফিক জানান, তিনি বারডেম জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত। মিরপুর-১০ নম্বর থেকে সকাল ৭টায় রওনা দিয়েছেন। যানজট আগারগাও ছাড়িয়ে গেছে। রাস্তায় গণপরিবহন সঙ্ককে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। অবশেষে হেটে ১০টায় বারডেমে পৌঁছেছেন বলেও জানান তিনি।
এদিকে যানজট মৎস্য ভবন থেকে গুলিস্তান, মতিঝিল ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে। দিনার নামের এক পথচারী জানান, যানজটের কারণে অনেক অ্যাম্বুলেন্স আটকে আছে। এদিকে নজরে রাখা উচিৎ। এক ঘণ্টার আগে কোনো সিগনাল ছাড়ছে না।
অবশ্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান বলেন, জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাজপথ দখল করে তারা আন্দোলন করবেন না। এ ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করে আজ সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে তারা সরে গিয়ে জাতীয় জাদুঘরের আশেপাশে থাকবেন।
তবে দুপুর ১২টা পর্যন্তও তাদের শাহবাড় মোড় ছাড়ার কথা শোনা যায়নি।
এরইমধ্যে আবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সভাপতি শেখ আতিকুর রহমান জানান, তাদের লাগাতার অবস্থান চলবে। তিনি বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা শাহবাগ থেকে সড়বো না। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে শনিবার মহাসমাবেশের ঘোষণাও দেন তিনি।
বুধবার (০৩ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে কোটা বহালের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নেয় ঢাবি মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
উল্লেখ্য, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়। কমিটি নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করে। সেই প্রস্তাবটিই গতকাল অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
/অ-ভি