ভাঙ্গনের গুঞ্জনের মধ্যেই মোশাররফ বললেন, ঐক্যের রূপরেখা ঘোষণা শিগগিরই
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষ নীতিগতভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে— খালেদা জিয়াকে ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না এবং জাতীয় ঐক্য ছাড়া জনগণকে এই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। অতি শিগগিরই জাতীয় ঐক্যের রূপরেখার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।
শনিবার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়েঅজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সম্পর্কিত খবর
খন্দকার মোশাররফ বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীদের নামে লাখ লাখ মামলা দেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য, সেটা হলো, আবারও বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখা। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করা এবং বর্তমানে যারা বিনা ভোটে গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করা। মূলত সরকারের অলিখিত বাকশালকে প্রতিষ্ঠা করতেই বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ভুতুড়ে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, যে দেশে প্রধান বিচারপতি নিজে বিচার পাননি, সে দেশে অন্যান্য নাগরিক সুবিচার পাবে এটা আশা করা অত্যন্ত কষ্টকর। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার বইয়ে লিখেছেন: যে দেশে আমি প্রধান বিচারপতি হয়ে বিচার পাইনি, সে দেশে সাধারণ মানুষ বিচার পাবে সেটা আমি আশা করি না। খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিষয়েও তা-ই হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২১ আগস্ট মামলার রায়ের পরে বিএনপির আর নিবন্ধন থাকতে পারে না— আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা কোনও হত্যাকাণ্ডকেই সমর্থন করি না। তবে অতীতে রমনা বটমূলে আ.লীগ সরকারের আমলে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেনি? পিলখানায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেনি? এসব ঘটনার জন্যে তাহলে অনেক আগেই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল হওয়া উচিত ছিল।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
-একে