নির্বাচনী আচরণবিধিতে পরিবর্তন আসছে
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা এ কথা জানান।
সম্পর্কিত খবর
নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার কমিশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সিইসি বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে আচরণ বিধিতে কিছ পরিবর্তন আনার কথা আমরা ভাবছি। তবে আগে তফসিল ঘোষণা, পরে আচরণ বিধি সংশোধন। কারণ তফসিল ঘোষণার পর পর সরকার , মন্ত্রী ও এমপিদের অবস্থান পর্য়বেক্ষণ করেই আচরণবিধির কিছু কিছু পরিবর্তনের উদ্যোগ নেব।
সংসদ বহাল থাকায় সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরিতে সাংসদদের নিয়ন্ত্রণারোপ করা হবে কি না, এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান সিইসি।
আচরণ বিধিতে পরিবর্তন আনার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এর প্রয়োজন পড়বে বলে মনে করি না। আচরণ বিধি নিয়ে ইসি আইন সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম কাজ করছেন। তিনি সার্বিক দিক বিশ্লেষণ করেই এ বিষয়ে সুপারিশ করবেন। তিন-চারদিন পর কমিশনের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকে তারা সুপারিশ পর্যালোচনা হবে।
নূরুল হুদা বলেন, মাঠ কর্মকর্তাদের বৈঠকে আমরা সবার কাছে প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। মাঠ পর্যায়েও সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
সার্বিক প্রস্তুতিতে আমরা সন্তুষ্ট।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরির বিষয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে নির্বাচনকালীন সময়ে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে মন্ত্রী-সাংসদদের সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিয়ন্ত্রণ করে আচরণবিধি করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার দিন থেকে নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ পর্যন্ত সময়কে ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়’ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
দশম সংসদ নির্বাচনের মতো এবারও সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। ৩০ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন করতে হবে।
এ্নই/