মঞ্চে দাঁড়িয়ে কাঁদলেন তোফায়েল আহমেদ
শরীয়তপুরের পূর্ব-মাদারীপুর কলেজ মাঠে মাদারীপুর কলেজ সরকারিকরণ উপলক্ষে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাককে স্মরণ করে কান্না করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। একপর্যায়ে রুমাল দিয়ে নিজের চোখের পানি মুছতে দেখাে গেছে।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে সুধী সমাবেশে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সম্পর্কিত খবর
এ সময় তোফায়েল বলেন, দুর্নীতির কারণে দলের প্রধান খালেদা জিয়া জেলে, তারেক জিয়ার যাবজ্জীবন হয়েছে। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন ডা. কামাল। ঐক্যফ্রন্টের সাথে সংলাপে বসবে আওয়ামী লীগ। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান মোতাবেকই নির্বাচন হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হতে হলে তিনটি ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে হয়। তিনটি হল মানুষের মাথাপিছু আয়, মানব সমাজের উন্নয়ন সূচক ও অর্থনৈতিক ভৌগলতা। তিনটিই আমরা পার করেছি।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। আর ২০৪১ সালে মধ্যে দেশ হবে উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা কাজ করে চলেছি।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু করতে বিশ্ব ব্যাংক টাকা দিবে না। প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু হবে। শেখ হাসিনার নের্তৃত্বেই সেই পদ্মা সেতু ৬০ শতাংশ দৃশ্যমান হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, পায়রা বন্দরটি খুব সুন্দর করে সাঁজানো হয়েছে। তার পাশেই চীনা কোম্পানি ও বাংলাদেশের একটি কোম্পানি মিলে ৬ হাজার বিঘা জমির ভিতরে এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানানো হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট নিক্ষাপনের মাধ্যমে ৫৭টি দেশের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নের্তৃত্বে বাংলাদেশে অকল্পনীয় উন্নয়ন হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চল হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর।বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রায়ত আব্দুর রাজ্জাকের কথা স্বরণ করে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন শরীয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক। শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে।
এ সময়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, ডামুড্যা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝি, ডামুড্যা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার কামাল উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবলু সিকদার, ডামুড্যা পৌরসভার মেয়র হুমায়ুন কবির বাচ্চু ছৈয়াল, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম রাজা ছৈয়াল, পূর্ব মাদারীপুর কলেজের অধ্যক্ষ জহিরুল্লাহ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিএম আ: সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শামিম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান রুবেল, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামন মন্টি মাঝি প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে আলহাজ্ব আব্দুর রাজ্জাক টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, পূর্ব মাদারীপুর কলেজ ৪ তলা একাডেমিক ভবনের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন, ডামুড্যা পৌরসভা ''ক'' শ্রেণিতে উন্নতিকরণসহ ৩ তলা ভবন উদ্বোধন, ডামুড্যা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
ওএফ