• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

খাশোগি হত্যা: সৌদিকে সরাসরি দোষারোপ করলেন এরদোয়ান

প্রকাশ:  ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৫ | আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৮
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগজি হত্যার ঘটনায় প্রথমবারের মত সরাসরি সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়েপ এরদোয়ান।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার একটি নিবন্ধে এরদোয়ান লিখেছেন, খাসোগজিকে হত্যা করার নির্দেশ সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে বলে আমরা জেনেছি।

তবে সেখানে তুরস্কের সাথে সৌদি আরবের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করে তিনি এমনটাও বলেছেন যে এই ঘটনায় বাদশাহ সালমানের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।

গত মাসের ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে হত্যা করা হয় জামাল খাসোগজিকে। তুরস্কের তদন্তকারীদের ধারণা তুরস্কের একজন নাগরিকের সাথে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে সৌদি দূতাবাসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে গেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় স্বেচ্ছায় দেশান্তরিত থাকা সাংবাদিক খাসোগজিকে। তার মৃতদেহ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের দলের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, যে তার ধারণা খাসোগজির মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে এসিডে গলিয়ে ফেলা হয়েছে। শুরুতে এই হত্যার কথা স্বীকার না করায় সৌদি আরবের সাথে তাদের মিত্র দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। পরবর্তীতে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ।

তুরস্ক চায় এই ১৮ জনকে যেন তাদের হাতে প্রত্যর্পণ করা হয়।

এরদোয়ান কী বলেছেন?

ওয়াশিংটন পোস্টে এরদোয়ান লিখেছেন, সৌদি আরবে আটক হওয়া ১৮ জনের মধ্যেই হত্যাকারীরা রয়েছে বলে আমরা নিশ্চিত। আমরা এও জানি যে তারা শুধু একটি নির্দেশ পালন করছিল: খাসোগজিকে হত্যা করে পালিয়ে যাও। এবং খাসোগজিকে হত্যা করার এই নির্দেশটি যে সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এসেছে সে বিষয়েও আমরা নিশ্চিত।

তিনি বলেন, আর কখনো নেটো জোটভুক্ত কোনো দেশের মাটিতে এই ধরণের অপরাধ সংঘটিত করার সাহস যেন কেউ না পায়। হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কেউ যদি এ ধরণের কাজ করে থাকে, তাহলে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ।

হত্যা সম্পর্কে আমরা কী জানি?

খাসোগজি দূতাবাসের ভেতরেই মারা গেছেন বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করলেও তার মৃতদেহ কোথায় এ প্রশ্নের জবাব বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছে তুরস্ক।

এ সপ্তাহের শুরুতে একজন তুর্কি কৌসুলি বলেন যে তদন্তকারীদের বিশ্বাস, তুরস্কের সৌদি দূতাবাসে প্রবেশের সাথে সাথেই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী খাসোগজিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

পরে তার মৃতদেহ টুকরো করে ধ্বংসও করা হয় পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক।

খাসোগজি আসলে কে?

একসময় সৌদি রাজপরিবারের উপদেষ্টা ছিলেন এই জামাল খাসোগজি।

গত বছর দেশটির সরকারের সাথে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয় এবং তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসনে চলে যান। তারপর থেকে সৌদি সরকার এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিত হতে শুরু করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে সৌদি সরকার-বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের-সমালোচনা করে নিয়মিত কলাম লিখতেন খাসোগজি; যা যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান খুব একটা ভালভাবে নেননি। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

/অ-ভি

সৌদি আরব,দোষারোপ,এরদোয়ান,সাংবাদিক হত্যা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close