• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নূর হোসেন দিবসে বিএনপির শ্রদ্ধা

প্রকাশ:  ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১০:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনে শহীদ নূর হোসেনের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শনিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর গুলিস্তানস্থ শহীদ নূর হোসেন চত্বরে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

শ্রদ্ধা শেষে তিনি বলেন, আজ দখলদারিত্বের একটি সরকার জাতির ঘাড়ে চেপে বসেছে। তারা চায় না অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক। তড়িঘড়ি করে তফসিল ঘোষণা দেশের মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।

আওয়ামী লীগ আবারো ১৪ সালের মতো পাতানো নির্বাচন করতে চায় অভিযোগ করে খোকন বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ শেষ না করেই তাদের নীল নকশা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) তফসিল দিয়েছে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না করলে বিরোধী দল কেমনে প্রচার প্রচারণা চালাবে।

তারা যদি নীল নকশার নির্বাচন করতে চায়, তাহলে সেটা কতোটুকু ফলপ্রসূ হবে, তা-ও প্রশ্ন রাখেন বিএনপির এই নেতা।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের এই দিনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন নূর হোসেন। নূর হোসেনের এই আত্মত্যাগ তৎকালীন স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনকে বেগবান করে। এ দিনে হাজারো প্রতিবাদী যুবকের সঙ্গে জীবন্ত পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল নূর হোসেন। তার বুকে-পিঠে উত্কীর্ণ ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’ এই জ্বলন্ত স্লোগান।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয় সেই যুবকের অগ্নিঝরা স্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন স্বৈরশাসকের। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তার বুক ঝাঁঝরা করে দেয়। গুলিতে আরও শহীদ হন নুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোও।

এই আন্দোলনের জোয়ারে নব্বইয়ের শেষ দিকে ভেসে যায় স্বৈরাচারের তক্তপোশ। শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তীব্রতর হয় এবং অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটে।

/অ-ভি

দিবস,বিএনপি,শ্রদ্ধা,নূর হোসেন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close